রাকিবুল ইসলাম, হরিহরপাড়া, আপনজন: হরিহরপাড়ার কিশোরী মৃত্যুর ঘটনায় ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের। তাতেই কবর থেকে ঐ কিশোরীর দেহ তোলা হল শুক্রবার। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার ধরমপুর এলাকার কবরস্থান থেকে দেহ তোলা হয়। ১৯ দিন পর সেই দেহ তুলে সরাসরি ফের ময়নাতদন্তের জন্য কলকাতা এস এস কে এম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল। আর এই দেহ উদ্ধারে উপস্থিত ছিলেন ম্যাজিষ্ট্রেট, হরিহরপাড়ার বিডিও সহ পুলিশ আধিকারিকেরা। করা হয় ভিডিওগ্রাফি। আর এঘটনায় ভিড় জমিয়েছেন স্থানীয়রা।
উল্লেখ্য, ৬দিন ধরে কিশোরী নিঁখোজ থাকার পর হরিহরপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। ঐ কিশোরীর রহিমা খাতুন। সে সদ্য অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। তবে ৬দিন পর গত ২৭ জানুয়ারি সর্ষের জমি থেকে ঐ কিশোরীর দেহ উদ্ধার হতেই ব্যপক আকারে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার ধরমপুর এলাকায়। ঘটনার পর পুলিশ মাঠ থেকেই মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরিবার সূত্রে খবর, ঐ যুবতী ৬ দিন থেকে নিখোঁজ ছিল। বাড়ির মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর তন্ন তন্ন করে খোজাখুজি শুরু করে বাড়ির লোকজন। না পেয়ে নিখোঁজের কথা জানিয়ে হরিহরপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নিখোঁজ কিশোরীর পরিবার। মৃতের পরিবারের অভিযোগ ছিল, প্রতিবেশী তরুণের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ঐ কিশোরী। প্রেমের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হতেই বাড়ি থেকে নিয়ে পালিয়ে যায় উভয়েই। তারপর থেকেই নিখোঁজ হয়। হঠাৎ সর্ষের জমি থেকে ঐ কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তবে মৃতদেহ দেখে স্বাভাবিক ঘটনা নয়। ঘটনার তদন্তে নেমে মুল অভিযুক্ত এবং তার মাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পাশাপাশি দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। কিন্তু, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক এবং পুলিশের রিপোর্টের মধ্যে অমিল থাকায় কলকাতা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল নাবালিকার পরিবার। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত দ্বিতীয় বার ওই কিশোরীর দেহ ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের দিয়ে ময়নাতদন্ত শেষ করে আগামী ৬ মার্চের মধ্যে ওই রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় পুলিশকে। সেই মতো শুক্রবার দুপুরে দেহ তোলা হয় কিশোরীর। ঐ কিশোরীর পরিবার চাইছে অপরাধীরা শাস্তি পাক।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct