দেবাশীষ পাল, মালদা, আপনজন: দেখতে ঠিক কদম ফুলের মতো। মিষ্টান্নের নামের সঙ্গেও কদম যোগ। আবার এই মিষ্টান্ন তৈরি করা হয় পোস্ত দিয়ে। বাংলার কোথায় এই মিষ্টি পাওয়া যায় জানেন? মালদার বিখ্যাত এই মিষ্টি রসকদম। আর পাঁচটা মিষ্টির থেকে এই মিষ্টির স্বাদ সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ একটি মিষ্টির মধ্যেই তিন রকম মিষ্টির স্বাদ পাওয়া যায়। রসগোল্লা, ক্ষীর ও চিনি একটির মধ্যেই তিনটি মিষ্টির আলাদা আলাদা স্বাদ পাওয়া যায় রসকদমে। তাই তো রসকদমের চাহিদা গোটা দেশ জুড়ে। শুকনো এই মিষ্টি এক সপ্তাহ রেখে খাওয়া যায়। মালদা জেলা জুড়ে এই মিষ্টি পাওয়া যায়। আকার অনুযায়ী মিষ্টির দাম। ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা পিস হিসাবে বিক্রি হচ্ছে বর্তমান বাজারে। রসকদমের জন্য মালদা জেলার খ্যাতি ছড়িয়েছে দেশ থেকে বিদেশেও।এই মিষ্টি তৈরির পদ্ধতিও একটু অন্যরকম। প্রথমে ছানার রসগোল্লা তৈরী করা হয়। তবে এই রসগোল্লার আকার অনেক ছোট হয়। একদিন রসে ডুবিয়ে রাখা হয়। তারপর ক্ষীর ও চিনি দিয়ে পাক তৈরি করা হয়। রসগোল্লার উপরে ক্ষীরের মোটা আস্তরণ দিয়ে গোলাকার তৈরি করা হয়। তার উপরে দেওয়া হয় পোস্ত। বিশেষ পদ্ধতিতে পোস্তর উপর চিনির আস্তরণ তৈরী করা হয়। সেই পোস্ত দেওয়া হয়। এখন অনেকেই সরাসরি পোস্তর দানা উপরে দিয়ে থাকে। এই ভাবেই তৈরি হয় রসকদম। পোস্তর দানা উপরে থাকায় দেখতে কদম ফুলের মত লাগে এই মিষ্টি।পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলায় বিশেষ মিষ্টি পাওয়া যায়। মালদা জেলার রসকদম সেই তালিকায় রয়েছে। রসকদমের জন্যই মিষ্টি প্রেমীদের কাছে বিখ্যাত মালদা জেলা। যে মিষ্টি গালে ভরলেই মেলে অপূর্ব স্বাদ।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct