আপনজন ডেস্ক: বৃহস্পতিবার উত্তরাখণ্ডের হলদওয়ানির সহিংসতার বিষয়ে ফ্যাক্ট ফািইন্ডিং টিমের একটি রিপোর্ট দিল্লিতে প্রেস ক্লাব অফ ইন্ডিয়ার কক্ষে উপস্থাপন করা হল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ৮ফেব্রুয়ারি হালদোয়ানির বনভোলপুরায় যে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছিল তা আকস্মিক নয় বরং সাম্প্রতিক সময়ে উত্তরাখণ্ডে সাম্প্রদায়িক অনুভূতির ক্রমাগত বৃদ্ধির ফলস্বরূপ। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, আটকের সংখ্যা অনেক বেশি, আর গ্রেপ্তারকৃতদের সংখ্যা প্রায় ২৮ বলে জানা গেছে। এছাড়া তিন শতাধিক বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালায় এবং ওই বাড়ির নারী ও শিশুকে আটক করে। লাঞ্ছিত করা হয় এবং বাড়িতে রাখা বাসনপত্র, ফ্রিজ, টিভি এবং অন্যান্য জিনিসপত্র ভেঙে দেওয়া হয়। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্য হর্ষ মন্দির বলেন, হলদওয়ানির একটি মসজিদ ও একটি মাদ্রাসায় বুলডোজার চালানো হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, এই জমি বরাদ্দ করা হয়েছে অথচ সরকার বলছে এটি অবৈধ দখল। হর্ষ মান্দার বলেন, বিষয়টি আদালতে গেলেও কর্তৃপক্ষ বাড়িঘর ও মসজিদ-মাদ্রাসা ভাঙার জন্য ভারী পুলিশ বাহিনী নিয়ে সেখানে পৌঁছায়, এতে স্থানীয় লোকজন আপত্তি জানায়, কিন্তু তারা রাজি না হলে স্থানীয় মহিলারা সামনে দাঁড়ান। এরপর পুলিশ নারীদের মারধর করে বাড়িঘর, মসজিদ-মাদ্রাসা ভাংচুর করে, এরপর স্থানীয় লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উভয় পক্ষ থেকে পাথর ছুড়তে থাকে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, যখন সংশ্লিষ্ট আদেশে বিতর্কিত সম্পত্তি সিলগালা করা হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ধার্য হয়। তারপরও বুলডোজ করা হল কি সরকারের চাপে। ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং টিমের অন্যসদস্য নওশরণ কাউর বলেন, আমরা ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, কারফিউর পর পুলিশ প্রায় ৩০০ বাড়িতে তল্লাশি চালায় এবং নারী ও শিশুদের ওপর হামলা চালায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct