আপনজন ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বিজেপির বিরুদ্ধে সন্দেশখালিতে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন। যদিও তার দাবি এই অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।অপরদিকে, এই সন্দেশখালি আরেএসের শক্ত ঘাঁটি বলে উল্লেখ করলেন তিনি। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সন্দেশখালিতে কীভাবে বিজেপি কর্মীদের আনা হয়েছে এবং পরিকল্পিতভাবে হিংসায় উস্কানি দেওয়া হয়েছে, তা প্রকাশ্যে এসেছে। প্রাথমিক টার্গেট ছিল শাহজাহান শেখ এবং ইডি তাকে টার্গেট করে এলাকায় ঢুকে পড়ে। তৃণমূল সুপ্রিমোর দাবি, এরপরই ওরা সবাইকে সেখান থেকে বের করে দেয় এবং আদিবাসী বনাম সংখ্যালঘু লড়াইয়ের জমিন তৈরি করে। তিনি বলেন, এই অঞ্চলটি একটি “ঝুঁকিপূর্ণ দাঙ্গা অঞ্চল” এবং বিজেপি সংখ্যালঘুদের আদিবাসীদের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। এটা নতুন কিছু নয়। সেখানে আরএসএসের ঘাঁটি রয়েছে। ৭-৮ বছর আগে সেখানে দাঙ্গা হয়েছিল। এটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দাঙ্গা স্পটগুলির মধ্যে একটি হল সন্দেশখালি।বহিরাগতরাই সন্দেশখালিতে এত গোলমাল পাকাচ্ছে।বিধানসভায় মমতা বলেন, সন্দেশখালিতে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং কোনও অন্যায়ের সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ক্ষমতাসীন তৃণমূল নেতাদের দ্বারা স্থানীয়দের উপর অত্যাচারের অভিযোগে বিক্ষোভ চলার উল্লেখ করে মমতা বলেন, তিনি কখনই কারও প্রতি কোনও অন্যায় হতে দেননি এবং কখনও দেবেন না।তিনি বলেন, আমরা সন্দেশখালির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছি। কোনো অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমি সেখানে রাজ্য মহিলা কমিশন পাঠিয়ে সন্দেশখালির জন্য একটি পুলিশ দল গঠন করেছি।মমতা বলেন, এলাকায় অশান্তি ছড়ানোর জন্য একটি “অশুভ পরিকল্পনা চলছে” এবং রাজ্য সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নিয়েছে।তৃণমূল নেতা শাজাহান শেখ ও তার অনুগামীদের গ্রেফতারের দাবিতে বুধবার টানা সপ্তম দিনের মতো সন্দেশখালিতে বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মহিলা রাস্তায় নেমেছিলেন। অন্যদিকে, সন্দেশখালি নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। যেখানে শোনা যাচ্ছে সন্দেশখালিতে অশান্তি পাকাতে এক অজ্ঞাতপরিচয়ের ব্যক্তিকে দায়িত্ব দিচ্ছেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। যদিও সেই অডিও ক্লিপ যাচাই করেনি আপনজন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct