নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: কেন্দ্রের ১০০ দিনের বকেয়া টাকা বঞ্চিত উপভোক্তাদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু উপভোক্তাদের কাজের সেই তালিকা প্রকাশ্য আসতেই শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। তালিকায় দেখা যাচ্ছে একের পর এক বিত্তশালী থেকে শুরু করে চাকুরীজীবীদের নাম। অথচ যারা প্রকৃত উপভোক্তা তাদের নাম নেই। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের তালিকা প্রকাশিত হতেই চক্ষু চড়কগাছ প্রকৃত উপভোক্তাদের। তালিকায় দেখা দিয়েছে বিস্তর গলদ।আর সেই তালিকাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিক্ষোভে সামিল হলেন হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝিকোডাঙ্গা গ্রামের প্রকৃত উপভোক্তারা।প্রকৃত উপভোক্তাদের অভিযোগ,যারা কোনোদিন ১০০ দিনের কাজ করেননি তাদের নাম তালিকায় রয়েছে। নাম রয়েছে সিভিক ভলেন্টিয়ার্স, সরকারি চাকুরীজীবী,অঞ্চল সভাপতি,
সুপারভাইজার ও সেনাবাহিনী কর্মীর বাবার নাম থেকে শুরু করে সমাজের বিত্তশালীদের।জানা গিয়েছে,কেন্দ্রের ১০০ দিনের কাজের বঞ্চিত ২১ লাখ জবকার্ড হোল্ডারকে ২১ ফেব্রুয়ারি টাকা প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।গ্রামে গ্রামে শুরু হয়েছে সার্ভের কাজ।আর সেই কাজ শুরু হতেই ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ঝিকোডাঙ্গা গ্রামে।আলিমা খাতুন নামে এক উপভোক্তা জানান,সে ১০ দিন ও তার ছেলে ২২ দিন মাটি কেটেছে অথচ তালিকায় তাদের নাম নেই।তার বাড়িতে কেউ সার্ভেও করতে আসেননি।যারা কোনোদিন কাজ করেনি তাদের নাম তালিকায় রয়েছে।রবিনা বেওয়া নামে আরো এক উপভোক্তা জানান,সে ৩০ দিন মাটি কেটেছিল,তাঁরও নাম নেই।এমনকি তাঁর জবকার্ডটি সুপারভাইজার নিজের কাছে রেখে দিয়েছে।আক্তারি খাতুন,দুলালী দাস ও মঙ্গলু চন্দ্র দাসরাও একই অভিযোগ করেন। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি তথা ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান বিমান বিহারী বসাক জানান,এফটিএ যাদের নামে মারা হয়েছে তালিকায় তাদের নাম রয়েছে। সেই তালিকা থেকে ব্লক প্রশাসন সার্ভে করছে। এর মধ্যে পঞ্চায়েতের কিছু করার নেই। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌমেন মন্ডল জানান, ব্লকের পক্ষ থেকে নতুন করে কোন তালিকা বানানো হয়নি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct