আপনজন ডেস্ক: রাফা শহরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পূর্ণাঙ্গ অভিযান গাজাবাসীর জন্য ‘ভয়ঙ্কর বিপর্যয়’ বলে আখ্যা দিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিভাগের প্রধান ভলকার তুর্ক। সোমবার এক বিবৃতিতে সম্প্রতি রাফায় ইসরায়েলি হামলার প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন তিনি। খবর আনাদোলু এজেন্সি।গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, এর আগে হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর পর প্রায় ১৩ লাখ বাস্তুচ্যুত গাজাবাসী আশ্রয় নেন মিশর সীমান্ত ঘেঁষা শহর রাফায়। জাতিসংঘের তথ্যমতে, সেখানে এখন প্রায় ১৫ লাখ মানুষের বাস যাদের বেশির ভাগই আশ্রয় হয়েছে শরণার্থী শিবিরগুলোতে। এ অবস্থায় সেখানে ইসরায়েলি হামলা হবে ‘ভয়ঙ্কর’।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিভাগের প্রধান ভলকার তুর্ক বলেন, রাফা অঞ্চলে আশ্রয় নেয়া বেসামরিকদের বেশির ভাগ নারী এবং শিশু। সেখানে ইসরায়েলের হামলায় এরাই বেশি হতাহতের শিকার হবে।বিবৃতিতে জাতিসংঘের ঐ কর্মকর্তা বলেন, এরইমধ্যে গাজায় যে ‘গণহত্যা’ চালানো হয়েছে তাতে কল্পনা করা যায় রাফার বেসামরিকরা কতটা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে পড়তে যাচ্ছে। এছাড়া এ হামলায় রাফায় মানবিক সহায়তা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ওই কর্মকর্তা।রাফায় হামলার মাধ্যমে পুরো গাজায় দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে অঞ্চলটির লাখ লাখ বাসিন্দা। এ অবস্থায় গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে ভলকার তুর্ক। পাশাপাশি হামাস কর্তৃক আটক জিম্মিদের মুক্তি দিতেও তিনি আহ্বান জানান।গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের চার মাস শেষ হয়েছে। তেল আবিবের হামলায় গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২৮ হাজারের বেশি বেসামরিক বাসিন্দা। অন্যদিকে আহতের সংখ্যা প্রায় ৬৮ হাজার।জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। হাজার হাজার মানুষ কোনও ধরনের আশ্রয় ছাড়াই বসবাস করছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম ত্রাণবাহী ট্রাক এ অঞ্চলে প্রবেশ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct