আপনজন ডেস্ক: কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে বাংলার শ্রমিকদের বকেয়া বেতন মেটানোর আর্জি জানিয়েছেন। চিঠিতে রাহুল লিখেছেন, সম্প্রতি ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় যোগ দিতে আসা বাংলার একশো দিনের কাজের শ্রমিকদের ‘চরমদু র্দশার কথা’ তিনি জানতে পেরেছেন। চিঠিতে তাই তিনি লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গ খেত মজদুর সমিতির মনরেগা-র কর্মীদের একটি প্রতিনিধি দল আমাকে তাদের সমস্যাগুলি সম্পর্কে অবহিত করেছে। সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার বজায় রাখতে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের ঊর্ধ্বে ওঠার কর্তব্যের কথাও মনে করিয়ে দেন মোদিকে।
কেন্দ্রের তহবিল কীভাবে বাংলায় কাজের সুযোগ সঙ্কুচিত হয়েছে, সে সম্পর্কে রাহুলের চিঠিতে বলা হয়েছে যে ২০২১-২২ থেকে ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের আওতায় কাজ পাওয়া পরিবারের সংখ্যা ৭৫ লক্ষ পরিবার থেকে কমে ৮,০০০-এ দাঁড়িয়েছে। যদিও দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশের মতো কেন্দ্রীয় কংগ্রেস নেতারা এর আগে এই বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন, তবে এই প্রথম রাহুল তহবিল স্থগিত রাখা নিয়ে মুখ খুললেন। মুখ্যমন্ত্রী সাম্প্রতিক মাসগুলিতে বাংলার বকেয়া আদায় নিয়ে যা বলে আসছেন তারই কার্যত প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে গত ১০ ফেব্রুয়ারি লেখা রাহুলের এই চিঠিতে। ফলে তখন জল্পনা শুরু হয়েছে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি বাংলায় ইন্ডিয়া জোট অটুট রাখতে মমতার কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন কিনা। কংগ্রেস ও অন্যান্য জোটসঙ্গীদের সঙ্গে আসন সমঝোতায় বিলম্ব এবং বাংলায় তাঁর দুই আসনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কংগ্রেসের রাজ্য নেতাদের আক্রমণে ক্ষোভ প্রকাশ করে মমতা সম্প্রতি ঘোষণা করেন, তৃণমূল একাই রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। কিন্তু এখন রাহুলের এই চিঠি নিয়ে তৃণমূলের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া না এলেও দলের সূত্রের খবর, তারা মনে করছে এই চিঠি মমতাকে খুশি করবে। তৃণমূলের কেউই অবশ্য বলছেন না,এই চিঠি আসন বণ্টন আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করবে কিনা। অপরদিকে, বাংলায় তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য কংগ্রেস ও বামেরা আলোচনা শুরু করেছে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। রাহুলের চিঠিকে স্বাগত জানিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct