আপনজন ডেস্ক: সাবেক প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার স্টাব ফিনল্যান্ডের পরবর্তী প্রেসিন্ডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। স্থানীয় সময় রবিবার রাতে রানওফ (দ্বিতীয় দফা) ভোটের পূর্ণাঙ্গ ফলাফলে স্টাবকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। ভোটের ফল মেনে নিয়ে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেকা হাভিস্তো। ৬৫ বছর বয়সী হাভিস্তো পরাজয় স্বীকার করেছেন।ফল প্রকাশের পর স্টাব হাভিস্তোকে বলেন, ন্যায্য ও দারুণ প্রতিযোগিতা হয়েছে। আপনার সঙ্গে এ নির্বাচনে অংশ নিতে পেরে আমি গর্বিত। ভালো একটি প্রতিযোগিতা হয়েছে। ন্যাশনাল কোয়ালিশন পার্টির স্টাব ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হাভিস্তো ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। প্রাথমিক ভোটার উপস্থিতি ছিল ৭০ দশমিক ৭ শতাংশ। গেল ২৮ জানুয়ারি প্রথম দফার ভোটে তিনি ২৭ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পান স্টাব আর হাভিস্তো পান ২৫ দশমিক দশমিক ৮ শতাংশ। প্রথম দফা ভোট পরবর্তী বিভিন্ন সমীক্ষায়ও ৮-৬ পয়েন্টে এগিয়ে ছিলেন স্টাব।২০০৪ সালে আইন প্রণেতা হিসেবে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন স্টাব। ২০০৮ সাল পর্যন্ত ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ছিলেন। এরপর দেশে ফিরে তিনি পর্যায়ক্রমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ইউরোপীয় বিষয়ক, বাণিজ্য ও অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এখন ফিনল্যান্ডের ১৩তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন আলেক্সান্ডার স্টাব। তিনি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তোর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন।নিনিস্তো ছয় বছরের দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকার পর অবসরে যাচ্ছেন। প্রতিবেশি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জন্য তার ডাকনাম পড়েছে ‘পুতিন হুইস্পারার’।ব্যক্তিগত জীবনে স্টাব ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত আইনজীবী সুজান ইনেস-স্টাবকে বিয়ে করেছেন স্টাব। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। ৫৫ বছর বয়সী স্টাব অপেশাদার হলেও একজন উদীয়মান ক্রীড়াবিদ এবং ট্রায়াথলন চ্যাম্পিয়ন। ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা সীমাবদ্ধ। তিনি দেশের আনুষ্ঠানিক প্রধান। পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতির ক্ষেত্রে তিনি সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করে চলেন। প্রেসিডেন্ট ফিনল্যান্ডের সামরিক বাহিনীর প্রধান। ফিনল্যান্ড এখন ন্যাটোর সদস্য এবং ন্যাটো বৈঠকে তিনিই দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct