আপনজন ডেস্ক: রাজ্যসভায় সাংবাদিক সাগরিকা ঘোষ-সহ আরও তিনজনকে প্রার্থী করল তৃণমূল কংগ্রেস। এপ্রিলে বাংলার পাঁচটি আসনের পাশাপাশি বাকি ৫১টি আসনে নির্বাচন হবে। বাংলা থেকে ষষ্ঠ মনোনয়ন না পেলে পাঁচজনই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল বলে, “আমরা আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে সাগরিকা ঘোষ, সুস্মিতা দেব, মহম্মদ নাদিমুল হক এবং মমতাবালা ঠাকুরকে প্রার্থী করা হচ্ছে। আমরা তাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং তারা তৃণমূলের অদম্য চেতনার স্থায়ী উত্তরাধিকার এবং প্রতিটি ভারতীয়ের অধিকারের পক্ষে কাজ করুক। তৃণমূলের এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিজেপির তরফে ঘোষণা করা হয়, বঙ্গ কংগ্রেসের মুখ্য মুখপাত্র তথা বসিরহাট (দক্ষিণ) বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্যকে বাংলা থেকে রাজ্যসভায় প্রার্থী করা হবে। তিনি বলেন, সাগরিকা একজন পরিচিত মুখ, যা জাতীয় স্তরে পরিচিত। রাজ্যসভায় আমাদের প্রতিনিধিদের বৈচিত্র্য আরও বাড়িয়ে তৃণমূলের এক সাংসদ বলেন, আমাদের দল উচ্চকক্ষে সর্বকনিষ্ঠ দল হবে, যেখানে ৭০ বছরের বেশি বয়সের ১৩ জনের মধ্যে মাত্র তিনজন থাকবে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের চারজন, ৪০ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব।
এই তালিকার ফলে বাংলার কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিংভির ভাগ্য নিয়ে জল্পনার অবসান ঘটল, যিনি রাজস্থানে স্থানান্তরিত হয়ে সেখান থেকে মনোনয়ন পেতে পারেন। একমাত্র চমকপ্রদ বাছাই ছিলেন রোডস স্কলার, প্রাক্তন প্রাইম টাইম অ্যাঙ্কর এবং অটল বিহারী বাজপেয়ী এবং ইন্দিরা গান্ধীর জীবনীকার ঘোষ, যার শো থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় ১২ বছর আগে প্রেসিডেন্সির এক ছাত্রী এবং অন্যান্যদের “মাওবাদী এবং সিপিএম ক্যাডার” হিসাবে চিহ্নিত করে বেরিয়ে এসেছিলেন, তাঁর কয়েকজন মন্ত্রীর আচরণ সম্পর্কে প্রশ্ন করার জন্য। পরে মুখ্যমন্ত্রীকে খোলা চিঠি লিখে কেন তাঁকে মাওবাদী বলা যায় না, তার ব্যাখ্যা দেন ওই ছাত্রী। যে প্রশ্নটি মমতাকে বিচলিত করেছিল তা হ’ল মদন মিত্র এবং আরাবুল ইসলামের মতো দলের নেতারা, “যারা ক্ষমতার অধিকারী তাদের আরও দায়িত্ব নেওয়া উচিত কিনা। ২০১৮ সালের ১৩ মার্চ একটি বিদ্বেষপূর্ণ টুইটের জবাবে ঘোষ লেখেন, ‘হাহা! আমি কোনও রাজনৈতিক দলের আরএস টিকিট বা পিএস টিকিট বা সিএস টিকিট কখনই গ্রহণ করব না, স্যার। সেটা আমি লিখিতভাবে দিতে পারি এবং আপনারা এই টুইটটি সেভ করে রাখতে পারে। টুইটটি এক হাজারেরও বেশি লাইক পেয়েছে এবং ১০২ জন ব্যবহারকারী টুইটটি বুকমার্ক বা সংরক্ষণ করেছেন, যেমনটি ঘোষ চেয়েছিলেন। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত দিলীপ ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর মনোনয়ন নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি নরেন্দ্র মোদী সরকার এবং দক্ষিণপন্থী “হেট কাল্ট” এর কড়া সমালোচক ছিলেন। তৃণমূলের কেউই বলতে পারেননি, কীভাবে দিলীপ ঘোষ রাজি হলেন, বা আদৌ কোনও রাজি করানোর প্রয়োজন ছিল কি না, মনোনয়নে রাজি হলেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct