সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে, ভাঙড়, জাহেদ মিস্ত্রী, বারুইপুর, আপনজন: বারুইপুর মহকুমা আদালতের নির্দেশে ২১ ফেব্রুয়ারি প্রর্যন্ত পুলিশ হেফাজত হয়েছে ভাঙড়ের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলামের। ৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার তাঁকে এস এস কে এম হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর আদালতে পেশ করে কলকাতা পুলিশ। একই দিনে ভাঙড়ে তৃণমূল-আই এস এফ-র মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বোমা উদ্ধারের ঘটনাও ঘটেছে। এদিন আরাবুল ইসলামকে আদালতে পেশ করার সময় ব্যপক পুলিশি নিরাপত্তা লক্ষ্য করা যায়। মুখে কাপড় বাঁধা অবস্থায় তাঁকে আদালতে পেশ করে পুলিশ। এসময় গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি আরাবুল ইসলামকে। তিনি অবশ্য কিছুই বলার চেষ্টা করেননি।পুলিশ ইন্সপেক্টর স্বরূপ দত্ত সুমো মোটো কমপ্লেন করে ছিলেন। তিন হাজার লোকেদের নামে অভিযোগ করা হয়েছিল। ঘটনার প্রায় আট মাস বাদে গ্রেফতার করা হয়েছে আরাবুল ইসলামকে ।আরাবুল ইসলামের পক্ষে তিনজন আইনজীবী মুভ করেন আদালতে। পি সি রিজেক্ট এর আবেদন করা হয়।
ঘটনার সময় ভাঙর ২ বিডিও অফিসে বসে ছিলেন আরাবুল। তিনি এই হামলায় জড়িত নয়। যখন ঘটনা ঘটেছে তখন কেন তাকে গ্রেফতার করা হল না? প্রয়োজনে ঘটনার দিন বিডিও অফিসের সি সি ফুটেজ দেখা হোক। আরাবুল ভীষণ অসুস্থ। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উল্টে ঘটনার দিন তার গাড়ির ড্যাস বোর্ডে বোমা রেখে আরাবুল কে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে এই গ্রেফতার করেছে এবং পি সি চাইছে। পি সি রিজেক্ট করা হোক। ঘটনার এতদিন বাদে অস্ত্র উদ্ধারের নামে হ্যারাজ করা হচ্ছে। পুলিশ পক্ষের আইনজীবী সামিউল হক বলেন, আট মাস বাদে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যে তিন হাজার মানুষ সেখানে ছিল সেই লোকগুলোকে আরাবুল কন্ট্রোল করছিল। ঘটনার যথাযথ তদন্ত হোক। যে অস্ত্রের ব্যাবহার হয়েছিল সেই অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। জামিনের আবেদন যাতে রিজেক্ট করা হয় তারজন্য আবেদন করেন তিনি।উল্লেখ্য, গতকাল উত্তর কাশিপুর থানায় ডেকে পাঠানোর পর আকস্মিক গ্রেফতার করা হয় ভাঙড়ের “তাজা নেতা” খ্যাত আরাবুল ইসলাম কে। তাঁকে স্থানীয় থানায় না রেখে সরাসরি লালবাজারে নিয়ে যায় কলকাতা পুলিশ। কয়েক মাস আগে ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় আই এস এফ কর্মী খুনে মামলা দায়ের হয় আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এছাড়া একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।অপরদিকে এই দিনেই ভাঙড়ের চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের কোচপুকুর গ্রামে সংঘর্ষে জড়ায় তৃণমূল ও আইএসএফ কর্মীরা। সূত্রের খবর দলীয় পতাকা লাগানো কে কেন্দ্র করেই গন্ডগোল তৈরি হয়। ঘটনায় পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। দুই দলের সংঘর্ষে ও পুলিশি লাঠিচার্জে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।একই দিনে ভাঙড়ে অন্য আরও একটি ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পোলেরহাট ১ নম্বর অঞ্চলের পোলেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের অদূরে তাজা বোমা দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পোলেরহাট থানার পুলিশ এসে বোম উদ্ধার করে নিয়ে যায়।মহামান্য বিচারক ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। ২১শে ফেব্রুয়ারি পুনরায় আদালতে পেশের নির্দেশ দিল আদালত.সময় সময় শারীরিক চিকিৎসার নির্দেশ আদালতের।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct