আপনজন ডেস্ক: যে গুজরাতে উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকার বারে বারে দেশেকে উদাহরণ দিয়ে থাকে, সেই গুজরাতেই এখন বিপুল সংখ্যক শিশু অপুষ্টির শিকার। গুজরাত বিধানসভায় বুধবার এ বিষয়ে জানানো হয়েছে, গুজরাতে ৫.৭০ লক্ষেরও বেশি শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। তবে, গুজরাত সরকার জানিয়েছে পরিস্থিতির উন্নতির জন্য নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের তালিকা তৈরি করেছে যাতে এই অপুষ্টি দুরীকরণ দ্রুত সম্ভব হয়।চলতি গুজরাত বিধানসভা অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে কংগ্রেস বিধায়কদের তোলা একগুচ্ছ প্রশ্নের জবাবে গুজরাতের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী ভানুবেন বাবারিয়া বলেন, রাজ্যে ৫.৭০ লক্ষ অপুষ্ট শিশুর মধ্যে প্রায় ৪.৩৮ লক্ষ শিশু কম ওজনের এবং ১.৩১ লক্ষ শিশু ‘গুরুতরভাবে কম ওজনের’ বিভাগে রয়েছে।উল্লেখযোগ্যভাবে যেসব জায়গায় অপুষ্টির হার বেশি তার মধ্যে হল আহমেদাবাদ জেলায়। সেখানে সর্বাধিক সংখ্যক অপুষ্টিতে ভুগছে (৫৬,৯৪১), তারপরে আদিবাসী-অধ্যুষিত দাহোদ (৫১,৩২১), বনাসকান্থা (৪৮,৮৬৬), পাঁচমহল (৩১,৫১২), খেদা (২৮,৮০০), সুরাট (২৬,৬৮২) এবং ভাবনগর (২৬,১২৮) রয়েছে। এক বছরে খেড়া জেলায় ৯,৬৩৪ জন অপুষ্টিতে ভুগছে শিশু, যা গুজরাটের মধ্যে সর্বোচ্চ। খেদার পরে রয়েছে আহমেদাবাদ (৩,৫১৬ জন), ভারুচ (১,৫৮৪) এবং ভালসাদ (১,৩৩৫ জন)। এই চারটি জেলা বাদে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়া এক বছরে অন্যান্য জেলায় অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা কমেছে।মন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার অপুষ্টি দূর করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। ৩ থেকে ৬ বছর বয়সি শিশুদের অঙ্গনওয়াড়িতে (শিশু যত্ন কেন্দ্র) গরম প্রাতঃরাশ এবং মধ্যাহ্নভোজ দেওয়া হয়। এ ছাড়া শিশুদের সপ্তাহে দু’বার ফল দেওয়া হয় বলে জানান বাবারিয়া।মন্ত্রী জানান, ছয় মাস থেকে তিন বছর বয়সের শিশুদের জন্য ৫০০ গ্রাম ওজনের সাত প্যাকেট ‘বাল শক্তি’ টেক-হোম রেশন, ৩ থেকে ৬ বছর বয়সি ‘গুরুতরভাবে কম ওজনের’ বাচ্চাদের জন্য ১০ প্যাকেট এবং ‘কম ওজনের’ শিশুদের জন্য চারটি খাবারের প্যাকেট দেওয়া হয়।অপুষ্টি মোকাবিলায় অঙ্গনওয়াড়ি শিশু ও তাদের মায়েদের ডাবল ফর্টিফায়েড লবণ, ফর্টিফায়েড তেলের পাশাপাশি গমের আটা সরবরাহ করে রাজ্য সরকার।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct