নিজস্ব প্রতিবেদক, বর্ধমান, আপনজন: পশ্চিম বর্ধমান জেলার কুলটির স্কুলে মোবাইল ফোন সহ ধরা পড়ে এক পরীক্ষার্থী। কুলটির নিয়ামতপুর এলাকার একটি হাইস্কুলের ছাত্রী সোমবার মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন মোবাইল ফোন সহ ধরা পড়ে কুলটি গার্লস হাই স্কুলে। এদিন পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিদর্শকরা তাকে প্রশ্নপত্র খাতা ও মোবাইল ফোন সহ ধরেন। এরপর বিষয়টি মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে জানানো হয়। এরপর পর্ষদের নির্দেশে ঐ ছাত্রীকে “ রিপোর্টেড এগেনস্ট “ বা “ আর এ “ করে দেওয়া হয়। পর্ষদ নির্দেশ দিয়ে বলেছে চলতি বছরে ঐ ছাত্রী আর কোন পরীক্ষা দিতে পারবে না। পশ্চিম বর্ধমান জেলা মাধ্যমিক পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা আহ্বায়ক রাজীব মুখোপাধ্যায় এই বিষয়ে বলেন, কুলটির নিয়ামতপুরের একটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী কুলটি গার্লস হাইস্কুলে সোমবার পরীক্ষা দিচ্ছিল। এই পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই হলের পরীক্ষকরা লক্ষ্য করেন, ঐ পড়ুয়া মোবাইল ফোন দেখে পরীক্ষার উত্তরপত্র লেখার চেষ্টা করছে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ধরা হয়। মোবাইল, পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর পত্র সহ সমস্ত কিছু আটক করা হয়। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে জানানো হয়। পরে পর্ষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ঐ ছাত্রীকে ‘ আর এ’ করা হোক। তিনি আরো বলেন, একইসঙ্গে চলতি বছরে ঐ পড়ুয়া আর পরীক্ষা দিতে পারবে না। এদিকে, পর্ষদ যখন প্রশ্নপত্র যাতে ভাইরাল বা ফাঁস কোনভাবে না হয় অথবা টোকাটুকি বন্ধে মরিয়া, তখন কিছু পরীক্ষার্থীদের মধ্যে এখনো এই ধরনের অন্যায় বা অপরাধমূলক কাজ করা ঘটনায় শিক্ষকরা রীতিমতো চিন্তিত। তাদের বক্তব্য, এই প্রবণতা ভালো নয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct