জিয়াউল হক, চুঁচুড়া, আপনজন: মহামান্য উচ্চ আদালতের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশে, চুঁচুড়া বিধানসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের কাপাসডাঙ্গা দাস পাড়ার একটি বাড়ির বিতর্কিত অংশ ভেঙ্গে ফেলল পৌরসভা, সাধারণত বেশ কয়েকমাস হুগলি চুঁচুড়া পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শুভদীপ বণিক পৌরসভায় একটি অভিযোগ করেন, তার জমি লাগোয়া জমি তারকনাথ মালাকার ও সৌমিক মালাকার একটি বাড়ি বানাচ্ছেন যাতে কোন রকম ছাড় দেওয়া হয়নি, যদিও কয়েকবার পৌরসভায় হেয়ারিং হলেও কোনরকম সুরাহা পাননি শুভদীপবাবু, অবশেষে তিনি মহামান্য উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন , জানা যাচ্ছে মহামান্য উচ্চ আদালতের কাছে এই কেস পৌঁছানোর পর বারবার হেয়ারিং হলেও ,মালাকার পরিবার এ বিষয়ে কোন রকম পদক্ষেপ নেননি, তাই বেশ কয়েকবার হেয়ারিং করার পর, মহামান্য আদালতের জাস্টিস রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, পুলিশ প্রশাসনকে সামনে রেখে পৌরসভা যেন বিতর্কিত অংশটি ভেঙ্গে ফেলে, অবশেষে মহামান্য উচ্চ আদালতের কথা মেনে কাপাসডাঙ্গা দাসপাড়ায় এসে পৌঁছান চন্দননগর কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ অফিসার ও বিশাল পুলিশ বাহিনী , সাথে সাথে এসে পৌঁছান পৌরসভার উচ্চপদস্থ অফিসার ও কর্মচারীরা, রীতিমতো শুরু হয় ভাঙ্গা, ভাঙার কাজ চলাকালীন সেখানে এসে পৌঁছান চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার, তিনি বলেন মহামান্য উচ্চ আদালতের নির্দেশে যে কাজ হচ্ছে তাকে আমরা সম্মান করি, অবশ্যই শান্তিপূর্ণভাবে যাতে এই কাজ সম্পন্ন হয় তাই এখানে এসে উপস্থিত হয়েছি, অবশেষে তিনি বলেন যদিও মালাকার পরিবার ভুল করেছে তাই তার বাড়ির অংশটি ভাঙা পড়ছে, তবু তারা গরিব মানুষ যেহেতু ভাঙ্গা পড়ছে তাদের পাশে আমরা প্রতি মুহূর্ত আছি, অবশেষে পৌরসভার কর্মচারীরা বাড়ির বিতর্কিত অংশটি ভেঙে দিয়ে কাজ সম্পন্ন করে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। উচ্চ আদালতের নির্দেশে মালাকার পরিবারের বাড়ির বিতর্কিত অংশ ভাঙার কাজ শান্তিতে শেষ হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct