সারিউল ইসলাম, মুর্শিদাবাদ, আপনজন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের আত্মহত্যা ঘিরে চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদের লালগোলা থানার ধুলাউড়ি এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে নিজের ঘরে গলার মাফলার ফ্যানের সঙ্গে বেঁধে আত্মঘাতী হন অধ্যাপক সুমন নাহার। (ইন্না লিল্লাহি...)।
সূত্রের খবর, মৃত সুমন নাহার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। যাদবপুরে অধ্যাপনা করতে যাওয়ার পর তার এক বন্ধুর বোনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে সুমনের। তার ওই বন্ধুর বাড়ি বীরভূম জেলায় বলে জানা গিয়েছে। সম্পর্কের জেরে ওই মহিলা সুমনকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, পরবর্তীতে বিয়ের জন্য জোর করতে থাকে। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় সুমনের বিরুদ্ধে দিপালী মাঝি নামের ওই মহিলা ২০২০ সালে লালগোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে, পরবর্তীতে যাদবপুর থানাতে আরও একটি অভিযোগ দায়ের করে ওই মহিলা। মৃতের পরিবারের দাবি, শুধু থানায় অভিযোগ নয় বরং মানসিকভাবে সুমনের উপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন ওই মহিলা। বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই অধ্যাপক সুমন নাহার। শুক্রবার যাদবপুর থেকে বাড়ি আসেন ওই অধ্যাপক, মঙ্গলবার দুপুর ২ টার ট্রেনে যাদবপুর ফিরে যাওয়ার কথা থাকলেও বেলা বারো’টার সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে গলায় থাকা মাফলার ফ্যানের সঙ্গে বেঁধে ঝুলে পড়েন সুমন নাহার। পরিবারের লোকেরা জানতে পেরে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা সুমন নাহারকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। মৃতের বাবা মোহাম্মদ এহেসান আলী বলেন, ‘বীরভূমের ওই মহিলা এতটা অবসাদে রেখেছিল, যে সুমন বাড়ি ফিরে এসে খাওয়া দাওয়া প্রায় ছেড়ে দিয়েছিল। আজ ফিরে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তার আগেই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল সুমন।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct