বাবলু প্রামানিক, বারুইপুর, আপনজন: বারুইপুর পশ্চিম রাজনৈতিক কর্মী সম্মেলনে সিপিএম থেকে ২ জন পঞ্চায়েত সদস্য সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তীর হাত ধরে তৃণমূলে জয়েন করলেন। রবিবার দুপুর বারোটা নাগাদ, আজ বারুইপুর নিউ ইন্ডিয়ান মাঠে বারুইপুর পশ্চিম তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক কর্মী সম্মেলনে সিপিআইএম এর দুই পঞ্চায়েত সদস্য আসিফ আলী গাজী ধপধপি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিআইএমের সদস্য ও সুইটি বৈদ্য শিখর বালি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তীর হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়েন করলেন। মঞ্চে ছিলেন বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক বিমান ব্যানার্জি, জেলা পরিষদের প্রাণী ও মৎস্য দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ জয়ন্ত ভদ্র, বারুইপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান শক্তি রায়চৌধুরী ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাস। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কানন দাস। কাউন্সিলর ও সভাপতি সুভাষ রায় চৌধুরী ও আসিস দেবনাথ তাছাড়া প্রতিটা ওয়ার্ডর ও পঞ্চায়েত সদস্য কর্মী সমার্থক বৃন্দ। মঞ্চে থেকে হুঙ্কার ছাড়লেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাজা বলেন ধর্মের নামে বিভাজনের রাজনীতি করেই যাদের দিন গুজরান হয়, সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে রক্তের হোলি খেলেই যাদের ক্ষমতায় আসতে হয়- ক্ষমতা ধরে রাখতে হয় সেই বিজেপির বাংলায় কোন ঠাঁই নেই। একথা একবার নয়, বারবার বুঝিয়ে দিয়েছে বাংলার মানুষ। ২০২১-এর নির্বাচন ও তার পরবর্তী অধ্যায়ে যে কটি নির্বাচন হয়েছে তার সবকটিতে হেরেছে বিজেপি। বাংলার সব প্রান্তের সব শ্রেণির মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে তাদের। সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রচুর প্রার্থী দিয়েও গোহারা হেরেছে বিজেপি। আর তাদের দোসর কংগ্রেস-সিপিএমের অশুভ জোটকেও প্রত্যাখ্যান করেছে মানুষ। আর ধূপগুড়ির উপনির্বাচন তো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল বিজেপির পায়ের তলায় মাটি নেই। তাই উত্তরবঙ্গের তথাকথিত শক্ত ঘাঁটিতেও বিজেপি ধরাশায়ী। সিপিএমের জামানত জব্দ হয়েছে। আর কংগ্রেসের কথা তো বাদই দিলাম। মানুষ বেছে নিয়েছে আমাদের সর্বজনশ্রদ্ধেয় নেত্রী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে। বিজেপির ঘৃণার রাজনীতিকে উড়িয়ে দিয়ে বাংলায় এখন শুধু উন্নয়নের জয়গান গাইছে মানুষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে প্রায় ৭৯টি সামাজিক প্রকল্প চালু হয়েছে। যা বিপ্লব ঘটিয়েছে বাংলার জনজীবনে। রয়েছে দুয়ারে সরকার। বিনামূল্যে চিকিৎসা, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, স্বাস্থ্যসাথী, সবুজসাথী, কন্যাশ্রী-রূপশ্রী সহ একাধিক প্রকল্পে উপকৃত গোটা বাংলা। অন্যদিকে বিজেপি শুধু ভোট নিয়েছে। বাংলার মানুষের জন্য কিছুই করেনি। বরং বাংলার ন্যায্য পাওনা আটকে দিয়ে বাংলাকে ভাতে মারতে চেয়েছে। সামাল দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লড়াই করছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে। কিন্তু মাথা নোয়াননি। এটাই বাংলা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct