মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, মন্তেশ্বর, আপনজন: রুগীকে কাঁধে করে নদী পেরোতে হতো । গ্রামবাসীদের উদ্যোগে অস্থায়ী বাঁশের সেতু তৈরী হলেও এলাকাবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল পাকা সেতুর।এই দাবি পূরণ করতে বিক্ষোভ,রাস্তা অবরোধ বা সরকারী দফতর ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেন।আইনি ভাবে বিভিন্ন দফতরে চিঠি চাপাঠির লড়াই চালিয়ে অবশেষে সাফল্য এলো। প্রায়৩০টি গ্রামের মানুষের দাবি মেনে কালনার মন্তেশ্বরের গাব্রুপুর থেকে মেমারি দুই নম্বর ব্লকে সোঁতলা গ্রামে সংযোগকারী পাঁকা সেতুর কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলো। উদ্বোধনের অপেক্ষায় দিন গুণছেন এলাকাবাসীরা।
কালনার মন্তেশ্বরের বাঁকা নদীর দুই পাড়ে রয়েছে প্রায় তিরিশটি ছোট বড় গ্রাম,এই গ্রামের মানুষরা যে কোনো দরকারি কাজে কালনা শহরে আসতে গেলে প্রায় ১৮ থেকে কুড়ি কিলোমিটার ঘুর পথে যেতে হতো। নতুন সেতু থেকে চলাচল শুরু হলে তা অনেকটাই কমে যাবে।পাকা সেতুর দাবিতে এলাকার মানুষ একজোটে লড়াই ও আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছিলেন,এই ব্রিজের নিচ দিয়ে বয়ে গিয়েছে বাঁকা নদী। বর্ষার সময় এই নদীর চেহারা নেয় ভয়ংকর। আগে মাঝে মাঝে ঘটতো ভয়াবহ দুর্ঘটনা ।নৌকাডুবি থেকে শুরু করে, সাঁতরে নদী পার হতে গিয়ে অনেকেই ডুবে প্রাণ দিয়েছে এই বাঁকা নদীতে। এলাকাবাসীদের উদ্যোগে একটি অস্থায়ী ব্রিজ সেখানে তৈরি হলো সেই ব্রিজ হয়েছিল নষ্ট বেশ কয়েক বছরের মধ্যেই। এরপরই জেলা পরিষদের উদ্যোগে এই কংক্রিটের ব্রিজ তৈরি উদ্যোগ নেওয়া হয় ।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct