মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, জয়রাম বাটী, আপনজন: জয়রাম বাটী রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হল ধর্মসভা। সেই ধর্ম সভায় শান্তি সম্প্রীতির বার্তা দেয়া হয়। বিবেকানন্দর জন্মতিথি উপলক্ষে ওই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন । স্বামী অনন্তানন্দ মহারাজ, আমি সুদয়ানন্দ মহারাজ ,বর্ধমানের বিশিষ্ট সাংবাদিক মোল্লা সফিকুল ইসলাম সহ জয়রামবাটি রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশনের অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক শিক্ষিকা। এই মঞ্চ থেকে ছাত্রছাত্রীদের পুরস্কার ও দুস্থ অসহায়দের শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানের সমস্ত মহারাজরা শান্তি সম্প্রীতির বার্তা দেন তারা বলেন যে একটি রাজনৈতিক দল শুধু স্বার্থের জন্য ধর্মকে ব্যবহার করছে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করছে। পূর্ব বর্ধমানের বিশিষ্ট সাংবাদিক মোল্লা সফিকুল ইসলাম বলেন স্বামী বিবেকানন্দ মানুষে মানুষের মধ্যে মিল মহব্বত ও মানুষকে ভালোবাসায় ঈশ্বর সেবা বলেছেন। তিনি হাদিসের কথা উল্লেখ করে বলেন কিয়ামতের ময়দানে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলবেন তার বান্দাকে আমি যখন অসুস্থ ছিলাম, আমি যখন অভাবগ্রস্ত ছিলাম ,আমি যখন ক্ষুধার্ত ছিলাম তখন তোমরা আমাকে সাহায্য করো নি। বান্দা বলবেন হে রাব্বুল আলামিন আপনি তো মহান প্রতিপালক আপনি তো সর্ব জ্ঞানী সমস্ত ক্ষমতার আধার আপনি । আপনি কি করে অভাব গোস্ত ছিলেন আপনি কি করে সাহায্য প্রার্থী ছিলেন ।তখন মহান রাব্বুল আলামীন বলবেন মানুষকে সাহায্য করলে আমাকে সাহায্য করা হতো। মোল্লা সফিকুল ইসলাম ওই মঞ্চে তার বক্তব্যে আরও বলেন শিকাগো ধর্ম সভা থেকে যখন ভারতবর্ষে বিভিন্ন জায়গায় স্বামী বিবেকানন্দকে সংবর্ধনা দেয়া হচ্ছিল সেই সময়ে এক সংবর্ধনা সভায় এক মুসলিম ভিখারিকে তিনি মঞ্চ থেকে নেমে সাদর আপ্যায়ন করেন । তিনি বলেন যখন পদব্রজে তিনি দেশ ভ্রমণ করেছিলেন তখন ক্ষুধায় ক্লান্ত হয়ে মৃতপ্রায় হয়ে পড়েন তখন এই ব্যক্তি তাকে খাদ্য পানীয় দিয়ে জীবন রক্ষা করেছিলেন । স্বামী বিবেকানন্দ এরকমই বার্তা দিয়ে গেছেন। জয়রাম বাটী রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী প্রবুদ্ধা নন্দ মহারাজ বলেন স্বামী বিবেকানন্দের অনেক বন্ধু ছিলেন মুসলিম ।রামকৃষ্ণ দেব মসজিদে গিয়েছিলেন ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়ে তিনি বলেছিলেন সব শিয়ালের এক ডাক। স্বামী বিবেকানন্দ কাশ্মীরের মুসলিম কন্যা কে কুমারী পূজা করেছিলেন। স্বামী প্রবুদ্ধা নন্দ আরো বলেন স্বামী বিবেকানন্দ এটাই শিখিয়েছেন ভেদ মানে হচ্ছে পাপ আর অভেদ মানে পুণ্যি। যারা বিভেদ করবে তারা কখনো ধর্ম করতে পারে না। উদার হতে হবে আর সেটাই রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ ও মা সারদা দেবী শিক্ষা দিয়ে গেছেন ।তাদের মধ্যে উদার চিন্তাভাবনা ছিল যেটা মানুষের বোঝার ক্ষমতার বাইরে। প্রতিটি বক্তার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ওপর বক্তব্য দর্শক দেরকে আনন্দিত করে । জয়রাম বাটি রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী প্রবুদ্ধা নন্দ মহারাজের প্রতি সবাই কৃতজ্ঞতা জানান ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct