আপনজন ডেস্ক: বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্টের ভিতরে হিন্দুদের প্রার্থনা কমপক্ষে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। কারণ শুক্রবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট মসজিদের তত্ত্বাবধায়কদের কোনও স্বস্তি দেয়নি, যারা মন্দিরের বেসমেন্টটি হিন্দুদের কাছে হস্তান্তরের জেলা আদালতের আদেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়েছিল। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানি হবে।বারাণসী জেলা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট তাদের আবেদন শুনতে অস্বীকার করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। বারাণসী আদালত বুধবার রায় দিয়েছিল জ্ঞানবাপি মসজিদের সেলারে মূর্তির পূজা করতে পারে। কমিটির তরফে আইনজীবী এস এফ এ নকভি আদালতে জানান, তড়িঘড়ি করে সংশ্লিষ্ট বিচারপতির অবসরের দিনই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।বারাণসী জেলা বিচারক অজয় কৃষ্ণ বিশ্বেশা ৩১ জানুয়ারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন।নকভি আরও জানান, এই নির্দেশ দেওয়ার সময় জেলা বিচারপতিরা তাঁদের নথি বিবেচনা করেননি।এদিকে, বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়াল রাজ্য সরকারকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের অ্যাডভোকেট জেনারেল অজয় মিশ্র আদালতকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট “বারাণসী জেলা জজ” এর আদেশ অনুসারে এটি করবেন। বারানসী জেলা আদালতের আদেশ বাতিল করে এর পরবর্তী অনুসরণ করে জেলা প্রশাসনের দ্বারা মসজিদের বেসমেন্টে হিন্দু পূজা অনুমতি দেয়। তবে, জেলা আদালতের রায় এবং জেলা প্রশাসনের ‘তাড়াহুড়ো’ বাস্তবায়নের সমালোচনা করেছে কমিটি। বারাণসী আদালতের বিরুদ্ধে মসজিদ পরিচালনা কমিটি ৩১ জানুয়ারি তারিখে উচ্চ আদালতে আর্জিতে জানায়, হিন্দু পক্ষ বেসমেন্টে পূজা অর্চনা করছে। এর অব্যাহতি দেওয়া হোক। কিন্তু এলহাবাদ হাইকোর্ট তাদের সেই আর্জি খারিজ করে দিয়ে পূজা অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেয়। শুক্রবার জ্ঞানবাপী মসজিদে নমাজ পড়তে জড়ো হন দুই হাজারেরও বেশি মুসলিম। শান্তিপূর্ণভাবে শুক্রবারের প্রার্থনা করার জন্য জনগণের কাছে আবেদন জানানো হয়। নামাজের আগে ফ্ল্যাগ মার্চও করে পুলিশ। অন্যদিকে, জ্ঞানবাপিতে পূজার অনুমিত দেওযার প্রতিবাদে শুক্রবার আসর পর্যন্ত তাদের দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখেন মুসলিমরা।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct