আপনজন ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের নারকীয় হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ম। সেখানের মানুষের মানবেতর জীবনচিত্র দেখে বিশ্বের লাখো কোটি মুক্তিকামী মানুষের হৃদয় ভেঙ্গে গেলেও নির্বিকার ইসরায়েল ও তাদের দোসররা। তবে এবার ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজার পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গাজার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে একটি বৈঠকে সেখানের পরিস্থিতিকে ‘নরক’ হিসাবে উল্লেখ করেন তিনি। বৈঠকে যুদ্ধবিরতির আহবান জানিয়ে গেব্রেয়াসুস বলেন, ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়ার মধ্যে ১৯৯৮-২০০০ সাল পর্যন্ত চলা যুদ্ধের সময় বাঙ্কারে সন্তানদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। নিজের অভিজ্ঞতার কারণে বিশ্বাস করি, যুদ্ধ কোনো সমাধান আনে না। যুদ্ধ আরো, আরো ঘৃণা, আরো যন্ত্রণা, আরো ধ্বংস ডেকে আনে।বিদ্যমান সমস্যা রাজনৈতিকভাবে সমাধানের আহবান জানানোর পাশপাশি, গাজার পরিস্থিতিকে নারকীয় উল্লেখ করে ডব্লিউএইচও প্রধান গেব্রেয়াসুস বলেন, আমি মনে করি আপনারা সবাই মিলে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের কথা বলেছেন। আশা করি সত্যিকারের সমাধানের মাধ্যমে এই যুদ্ধের অবসান হবে।’যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় জাতিসংঘের ত্রাণসহায়তা তহবিলে অর্থ দেয়া বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বের বেশ কিছু উন্নত দেশ। এই অবস্থায় অঞ্চলটিতে তীব্র খাদ্যসংকটের কারণে প্রচণ্ড ক্ষুধার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান একে নরকের সঙ্গে তুলনা করেছেন। গাজায় বর্তমানে প্রচণ্ড ক্ষুধার পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে জানিয়ে বলেন, রাফা চেক পয়েন্টের আশপাশে অহেতুক দেরি করার কারণে মানুষের মধ্যে খাবার পৌঁছে দিতে দেরি হচ্ছে। এটি গাজার মানুষের চরম হতাশার কথা তুলে ধরে, যারা প্রচণ্ড ক্ষুধাসহ নারকীয় পরিস্থিতিতে বাস করছে।প্রায় চার মাস ধরে চলা ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ৮০ শতাংশ বাসিন্দাই এখন বাস্তুচ্যুত। এই পরিস্থিতিতে, ফিলিস্তিনিদের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর ত্রাণ সহায়তা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার আহবান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct