আপনজন ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ব্যাংকে কর্মরত চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের একটি সংগঠন বেঙ্গল প্রভিন্সিয়াল ব্যাংক কন্ট্রাক্ট এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন (বি.পি.বি.সি.ইএ)-এর ১৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে একি অনুষ্ঠানের আযোজন করা হয় ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন হলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সভার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিপিবিসিইএ-এর চেয়ারম্যান কমল ভট্টাচার্য,। এদিনের সভায় কেন্দ্রীয় সরকারের বেতন কোড এবং শ্রমিক কোডকে শ্রমিক এবং কর্মচারী বিরোধী বলে অভিহিত করে অবিলম্বে প্রত্যাহারের জন্য জোরালো দাবি জানানো হয়। সংগঠণের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেন, বেতন কোড এবং শ্রমিক কোড-এর ধারা, উপধারা গুলি কেবল মালিকপক্ষকে সুবিধা দেওয়ার জন্যেই সরকার গঠন করেছে। ওই আইন দ্বারা কোনো ভবেই শ্রমিক কর্মচারী উপকৃত হতে পারে না। ওই আইন শ্রমিক কর্মচারীদের অস্তিত্বকে ধংস করে ব্রিটিশ শাসকের যুগকে ফিরিয়ে আনতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। তিনি জানান, বি জে পি শাসিত কিছু রাজ্যে বাস্তবাযিত করার চেষ্টা হলেও পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্যে সম্ভবপর হয়নি সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের বিরোধিতায়। সাহাবুদ্দিন আরও বলেন, আমরা এই সভা থেকে আহ্বান করছি সমস্ত ট্রেড ইউনিয়নগুলিকে একািত্রত হয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের এই ফ্যাসিস্ট আইন প্রত্যাহারের জন্য কৃষক আন্দোলনের পথ ধরে আন্দোলনে নামার জন্য। তিনি আরও আক্ষেপের সুরে বলেন, স্বাধীনতার পরেই পরে শ্রমিক স্বার্থে গঠিত হয়েছিল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিসপিউট আ্যাক্টু ১৯৪৭ এবং মিনিমাম ওয়েজেস অ্যাক্ট ১৯৪৮। কিন্তু দীর্ঘ্ ৭৫ বছরের পরও ওই আইন শ্রমিক কর্মী স্বার্থে কোনো সংযোজন এবং সংশোধন হইনি। ফলে ডেপুটি চিফ লেবার কমিশনের অফিসে যেকোন লেবার ডিসপিউট-এর ক্ষেত্রে শ্রমিক রা তাদের সঠিক প্রাপ্য পেতে খুবই অসুবিধা হয় এবং প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। কর্মীরা আইনানুগ প্রাপ্য থেকে ক্রমাগত বঞ্চিত অথচ উক্ত আইনের বহু ধারা উপধারা সংশোধনীর খুবই প্রয়োজন ছিল, যেটা হয়নি। সাহাবুদ্দিন দেশের মোট সম্পদকে সরকার কয়েকজন শিল্পপতিদের হতে তুলে দিতে সচেষ্ট হওয়ায় দেশের ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব, লাগামহীন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, আর্থিক মন্দা বলে মন্তব্য করেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct