আপনজন ডেস্ক: প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ বৃহস্পতিবার আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে (এএমইউ) সংখ্যালঘু মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছে। বেঞ্চ আট দিন ধরে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনেছে। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি সূর্যকান্ত, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত, বিচারপতি মনোজ মিশ্র এবং বিচারপতি এসসি শর্মাকে নিয়ে গঠিত সাংবিধানিক বেঞ্চে ২০০৬ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ের একটি উল্লেখের শুনানি চলছিল, যেখানে বলা হয়েছিল এএমইউ কোনও সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান নয়। ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ বিষয়টি ৭ বিচারপতির বেঞ্চে পাঠায়। এই মামলায় যে প্রশ্নগুলি উঠে আসে তার মধ্যে একটি হল একটি সংবিধি (এএমইউ আইন ১৯২০) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচালিত কোনও বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যালঘু মর্যাদা দাবি করতে পারে কিনা। এস আজিজ বাশা বনাম কেন্দ্রীয় মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ১৯৬৭ সালের রায়ে এএমইউ-এর সংখ্যালঘু মর্যাদা প্রত্যাখ্যান করেছিল এবং ১৯৮১ সালে এএমইউ আইনের সংশোধনী, যা এএমইউকে সংখ্যালঘু মর্যাদা দিয়েছিল। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় এবং এএমইউ ওল্ড বয়েজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিত্ব করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট ডঃ রাজীব ধাওয়ান এবং মিঃ কপিল সিব্বল, মিঃ সলমন খুরশিদ, মিঃ শাদান ফরাসাত, যিনি হস্তক্ষেপকারীদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারে পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরমণি এবং সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। আইনজীবী ও বেঞ্চের সামনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপস্থাপন করা হয়। সংবিধি আইন এবং এএমইউর ইতিহাস সহ বিভিন্ন সংশোধনী আইন বিশ্লেষণ করে আলোচনা করা হয়েছিল। এদিন ছিল শুনানির অষ্টম দিন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct