সজিবুল ইসলাম, মুর্শিদাবাদ, আপনজন: বুধবার সকাল থেকেই জেলার প্রাণকেন্দ্র বহরমপুর সাজসাজ রব,জেলার বিভিন্ন প্রান্তর থেকে সরকারি আধিকারিকের পাশাপাশি তৃণমূলের বিধায়ক, সাংসদ,পঞ্চায়ে সমিতির সভাপতি জেলাপরিষদের সভাধিপতি সহ প্রধান ও মেম্বার গণেরা দলীয় কর্মীদের নিয়ে হাজির হয় স্টেডিয়াম ময়দানে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে।জেলার শেষ প্রান্ত জলঙ্গী বিধান সভার বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে ও তৃণমূলের ব্লক সভাপতিদের সহযোগিতায় বাস ও ছোট গাড়িতে করে কয়েক হাজার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে পৌঁছায় মুখ্যমন্ত্রীর সভায়।রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে হেলিকপ্টারে করে মালদা থেকে পৌঁছলেন বুধবার দুপুর দুটো নাগাদ বহরমপুর স্টেডিয়াম ময়দানে। মুর্শিদাবাদ জেলার একাধিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি ও একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প
উদ্বোধন করেন। ট্রাই সাইকেল বিতরণ, জমির পাট্টা প্রদান,সবুজ সাথী সাইকেল বিতরণ সহ বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয় এদিনের সভা থেকে। তিনি জেলাবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রের বিজেপির সরকার কে একাধিক ভাষায় আক্রমণ করে বলেন রাজ্যের পাওনা একশো দিনের কাজের টাকা সহ আবাস যোজনা ঘরের অর্থ বন্ধ করে রেখেছে। তিনি আরো বলেন কিন্তু আমাদের সরকার রাজ্যবাসীর জন্য প্রায় ৪০ দিনের কাজের টাকা সাধারণ মানুষের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে।তিনি আরো বলেন মুর্শিদাবাদে বর্তমানে বিএসএফের খুব অত্যাচার শুরু করেছে পরিচয় পত্র থাকার পরেও আবার নতুন করে তাদের কাছ থেকে আই কার্ড নিতে বলছে,কত কার্ড লাগব , জর্ব কার্ড স্বাস্থ্য সাথীর কার্ড সহ একাধিক কার্ড রয়েছে মানুষের তার উপর এই অত্যাচার করছে বিএসএফ। বিজেপি রাজ্য গুলোকে তুলে ধরে বলেন সেখানে এখন মাংস , ডিম, মাছের দোকান বন্ধ করছে, মানুষ কি খাবে আর কি খাবেন সেই বিষয়ও ঠিক করে দিচ্ছে বিজেপি সরকার। বাংলায় বাম সরকারের অত্যাচারের কথাও এদিন তুলে ধরে বলেন আমার মাথা, চোখে, শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত করেছে তারা ,এবং মুর্শিদাবাদের হরিহর পাড়ার খুনের ঘটনা তুলে ধরে বলেন তখন আমি এসেছিলাম সেই ঘটনায় তার পরেই আবারও বলেন যেখানেই মানুষ বিপদে পড়েছে আমি ছুটে এসেছি ২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি বালির ঘাটের দুর্ঘটনার কথা তুলে ধরে বলেন আমি দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে এসেছি মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিল এবং চাকরি দেওয়া হয়েছে। জেলাবাসী দুহাত ভরে আমাদের দিয়েছেন আমরাও দিয়েছি অনেক কিছু এমনকি পরিযায়ী শ্রকিমকদের জন্য একটি কমিটি তৈরি করা হচ্ছে। সভা শেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের নেতা কর্মী ও বিধায়ক সাংসদ দের নিয়ে বহরমপুর স্টেডিয়াম ময়দান থেকে বহরমপুর শহরের রাজপথ দিয়ে পায়ে হেঁটে বেরাক স্কয়ার ময়দানে যান,সেখান থেকেই আবারও আকাশ পথে নদীয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।এদিনের সভায় জনজোয়ার লক্ষ্য করা যায়।