আপনজন ডেস্ক: নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য আবারও মনোনীত হয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক এ পুরস্কারের জন্য এ নিয়ে চতুর্থবার তার নাম প্রস্তাব করা হলো। ইসরায়েলের সঙ্গে আরব বিশ্বের কয়েকটি দেশের সম্পর্কোন্নয়ন চুক্তি, তথা আব্রাহাম অ্যাকর্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার রাখায় শান্তিতে নোবেল দেওয়ার জন্য ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেছেন তারই দলের এক আইনপ্রণেতা।২০২০ সালে স্বাক্ষরিত আব্রাহাম অ্যাকর্ড চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্ক স্থাপন করে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। পরে মরক্কো এবং সুদানও একই পথ অনুসরণ করে। ওই চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় ছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিউইয়র্কের রিপাবলিকান সদস্য ক্লডিয়া টেনি নাম প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন, ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ডস তৈরিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাহসী প্রচেষ্টা ছিল নজিরবিহীন। কিন্তু নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটি তার স্বীকৃতি দিতে পারেনি। তাই আজ তার মনোনয়নের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিচ্ছি।’ টেনি বলেছেন, দশকের পর দশক ধরে আমলা, পররাষ্ট্রনীতি পেশাদার, এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো জোর দিয়ে বলে এসেছে, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সমাধান ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে শান্তিচুক্তি সম্ভব নয়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেটিকে ভুল প্রমাণ করেছেন। তিনি বলেন, ১৯৭৮ সালে মিশর-ইসরায়েল শান্তিচুক্তি এবং ১৯৯৪ সালের অসলো চুক্তি উভয়ই নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতেছিল। তবে এখন পর্যন্ত আব্রাহাম চুক্তিতে ট্রাম্পের ভূমিকাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, আব্রাহাম অ্যাকর্ডস প্রতিষ্ঠায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাহসী প্রচেষ্টা ছিল ‘নজিরবিহীন’, যা নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটি বারবার অস্বীকার করে চলেছে। টেনির মতে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে জো বাইডেনের দুর্বল নেতৃত্ব যখন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও সুরক্ষাকে হুমকির মুখে ফেলছে, তখন অবশ্যই ট্রাম্পকে তার শক্তিশালী নেতৃত্ব ও বিশ্ব শান্তি অর্জনে প্রচেষ্টার জন্য স্বীকৃতি দিতে হবে। এটি এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি জরুরি হয়ে উঠেছে। এর আগে, ২০২০ সালে আব্রাহাম অ্যাকর্ডে ভূমিকা রাখায় নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন ট্রাম্প। সেবার তার নাম প্রস্তাব করেছিলেন নরওয়েজিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য ক্রিশ্চিয়ান টাইব্রিং-গেড্ডে।নরওয়ের এই রাজনীতিক ২০১৯ সালেও ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছিলেন। সেবার উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন প্রচেষ্টার জন্য ট্রাম্পকে পুরস্কৃত করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি।এরপর, ২০২১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে মনোনীত করেন ফিনল্যান্ডের ডানপন্থি সংসদ সদস্য লরা হুহতাসারি। সার্বিয়া-কসভোর মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক চুক্তি স্বাক্ষরে ভূমিকা রাখায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট শান্তি পুরস্কারের দাবিদার বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct