আজিজুর রহমান, গলসি, আপনজন: গলসির সাঁকো গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ডের অঙ্কটা বেশ জটিল ছিল বলে মনে করতেন অনেকেই। যা নিয়ে জোর চর্চা হয়েছিল বোর্ড গঠন দিন থেকেই। বহু কাঠখড় পুড়িয়েও তৃণমূলের হাতছাড়া হয়েছিল সাঁকো গ্রাম পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েত ভোটে অঞ্চলে তৃণমূল ফলও বেশ খারাপ হয়েছিল। যার জেরে ওই অঞ্চলে ১৩ টির মধ্যে ৬ টি আসন পায় তৃণমূল। ৪ টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। ফরওয়ার্ড ব্লক, কংগ্রেস ও সিপিআইএম পেয়েছিল ১ টি করে আসন পায়। শাসক দলকে পঞ্চায়েত ছাড়া করতে সাতজন বিরোধী প্রার্থী একজোট হয়ে পঞ্চায়েত গঠন করে। তাকে প্রধান হন ফরওয়ার্ড ব্লকের বিজয়ী প্রার্থী শিখা সাঁতরা। উপপ্রধান হন বিজেপির প্রার্থী সুনীল মান্ডি। তৃণমূলকে শায়েস্তা করতে ওই পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করে বিরোধী দলের পঞ্চায়েত সদস্যরা। তবে তা আর শেষ রক্ষা হলনা। নতুন ব্লক সভাপতি সাবির উদ্দিন আহম্মেদ মনোনীত হতেই আসলো চমক। গলসি ২ নং ব্লকের সাঁকে গ্রাম পঞ্চায়েত এবার দখল নিলো তৃণমূল কংগ্রেসের বোর্ড। সিপিআইএম এর শিখা সাঁতরা ও কংগ্রের জয়ী প্রার্থী সেখ সাইদুল্লাহ যোগ দিলেন তৃণমূলে। ফলে এক নিমেষেই বদলে গেল অঙ্ক। দুইজন দলে যোগ দেওয়ায় তৃণমূল পেল মোট ৮ আসন। বিরোধীদের হাতে রইল ৫ টি আসন। সেখ সাবির উদ্দিন আহম্মেদ জানিয়েছেন, যোগদাতা ওই দুই প্রার্থী তৃণমূলের কর্মযোগ্যে সামিল হতে চায় বলেই তারা তাদের দলে যোগ দিয়েছেন। কিছুদিন আগেই ওই দুই বিজয়ী প্রার্থী তাকে তৃণমূলে যোগদানের কথা চিঠি দিয়ে জানান। সেই কথাও তিনি জেলা সভাপতি ও রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছেন। এরপরই দলীয় নির্দেশ মতো মঙ্গলবার ওই দুইজন কাটোয়ায় গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। আপাতত শিখা সাঁতরাই প্রধান পদে বহাল থাকছেন বলে জানান তিনি। মঙ্গলবার কাটোয়া স্টেশন বাজারে তৃণমূল দলীয় কার্যালয়ে তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জ্জী। শিখা ও সাহিদুল্লাহ জানিয়েছেন, তারা তৃণমূলের সাথে যোগ দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করে ব্লক সভাপতি সাবিরউদ্দিনকে জানিয়ে ছিলেন। সেইমতোই তারা জেলা সভাপতির কাছে পৌছান। আগামী দিনে তারা তৃণমূলের হয়েই কাজ করবেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct