নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, দেবাশীষ পাল, মালদা, আপনজন: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার মালদায় অভিযোগ করেছেন যে কংগ্রেসের সাথে তৃণমূল কংগ্রেসের “বন্ধুত্বপূর্ণ” সম্পর্কের অবনতির জন্য সিপিআইএম দায়ী। তিনি বলেন, আমি একটা সময় কংগ্রেসের সঙ্গে ছিলাম। কংগ্রেস নেতৃত্বের সাথে আমার বোঝাপড়া বেশ সৌহার্দ্যপূর্ণ ছিল। কিন্তু সিপিএমের কারণে কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খারাপ হয়ে গিয়েছে। আসন সমঝোতা ব্যর্থ হওয়ার জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তাদের নেতাদের একাংশের অতিরিক্ত দাবি শেষ পর্যন্ত তাঁকে পশ্চিমবঙ্গে একা চলার সিদ্ধান্ত নিতে প্ররোচিত করেছে। বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করার কথা ভেবেছিলাম। রাজ্য বিধানসভায় তাদের কোনও প্রতিনিধি নেই। রাজ্য থেকে মাত্র দুটি লোকসভা আসন রয়েছে তাদের। তাই দুটো দিতে রাজি ছিলাম। ওই দুটি আসন থেকে তাদের জয় নিশ্চিত করেছি। কিন্তু তারা সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। তখন আমি ভেবেছিলাম যথেষ্ট হয়েছে। যে সিপিএম আমাকে বারবার হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে, তাদের সঙ্গে আমি এগোতে পারব না। পশ্চিমবঙ্গে ওরা বহু মানুষকে খুন করেছে। মমতা আরও বলেন, সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেসের বোঝাপড়া আসলে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে লাভবান করবে। তাই তৃণমূল কংগ্রেস একা লড়ে বিজেপিকে হারানোর সর্বাত্মক চেষ্টা চালানোই ভাল।বুধবার সকালে ন্যায় যাত্রার সমাবেশ চলাকালীন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির গাড়ির পিছনের উইন্ডস্ক্রিন ভাঙার কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ঘটনাটি আসলে বিহারে ঘটেছিল বাংলায় ঢোকার ঠিক আগে। আমি এ ধরনের কাজ সমর্থন করি না। আমি যে কারো ওপর হামলার নিন্দা জানাই। কিন্তু পরে জানতে পারি ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের কাটিহারে। সেই ভাঙা উইন্ডস্ক্রিন নিয়েই বাংলায় ঢোকে ওই বিশেষ যানটি। বিহারে নীতীশ কুমারের দল সবে বিজেপির পাশে চলে এসেছে। অন্যদিকে অন্যরা ঐক্যবদ্ধ। সুতরাং এটা সেখানে ঘটে থাকতে পারে।প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, কেউ হয়তো পাথর ছুড়েছে। বিহারের কাটিহারে রোড শো করে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে পৌঁছন রাহুল। এই ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান কংগ্রেস নেতা। ভাঙা উইন্ডস্ক্রিন নিয়ে গাড়িতে ৩৮ কিলোমিটার যাওয়ার পর রাহুল নির্ধারিত স্থানে পৌঁছন। বাংলা সফরের পর ঝাড়খণ্ডে যাবেন তিনি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct