আপনজন ডেস্ক: ২০১৩ সাল থেকে সরকার ও সরকার পোষিত উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভোকেশনা লাইজেশন অফ স্কুল এডুকেশনের অন্তর্গত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ন্যাশনাল স্কিলস কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্কের অধীনে বিভিন্ন বৃত্তিমূলক বিষয়ে ( যেমন: ইনফরমেশন টেকনোলজি,অটোমোটিভ, রিটেল, প্লাম্বিং, ইলেকট্রনিক্স, কনস্ট্রাকশন ইত্যাদি। ) শিক্ষাদান করানো হয়। বর্তমানে ৭২৬টি বিদ্যালয়ে এই বিষয়গুলি ছাত্র ছাত্রীরা পড়ার সুযোগ পায় । মূলত মাধ্যমিক স্তরে এই বিষয়গুলি ঐচ্ছিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে মূল বিষয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত। স্থায়ী নিয়োগ নীতি থাকা সত্বেও শিক্ষকদের বিভিন্ন প্রাইভেট এজেন্সী দিয়ে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। স্থায়ীকরণ এবং বেতন কাঠামোর দাবীতে শিক্ষক, শিক্ষিকারা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন। উল্লেখ্য, ৭২৬ টি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং বর্তমান শিক্ষাবর্ষে নতুন ৮৮৫ টি বিদ্যালয়ে “ভোকেশনালাইজেশন অফ স্কুল এডুকেশন” পরিচালনার টেন্ডার পায়। এই টেন্ডার প্রকাশিত করে কারিগরী শিক্ষা দপ্তর।
বহিরাগত মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের একটি প্রাইভেট এজেন্সী তাঁদের বৃত্তিমূলক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ এবং পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে যাঁরা আবেদন করেছিলেন তাঁদের ই-মেল করে জানানো হয় ফেব্রুয়ারি ১ তারিখে তাঁরা যেনো ১০০ টাকার নোটারি স্ট্যাম্প পেপারে লিখে নিয়ে যান শিক্ষকরা যেনো কোনো সংগঠনের সাথে যুক্ত না থাকেন, বেতন সময়ে না পেলেও তাঁরা কোনো অভিযোগ করতে পারবেন না,যে কোনো সময় প্রাইভেট এজেন্সী চাকরি কেড়ে নিতে পারেন, কারিগরী দপ্তর গেলে চাকরি চলে যাবে, যদি কেউ শিক্ষক সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকেন তাঁকে মোটা টাকা চল্লিশ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে, এরকম বহু ফতোয়া দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ এনএসকিউএফ শিক্ষক পরিবার সংগঠনের পক্ষ থেকে কারিগরী দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এবং অধিকর্তাকে ই-মেলের মাধ্যমে অভিযোগ জানানো হয়েছে দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। পশ্চিমবঙ্গ এনএসকিউএফ শিক্ষক পরিবারের রাজ্য সম্পাদক বলেন,এই প্রাইভেট এজেন্সী ছাড়াও বিভিন্ন প্রাইভেট এজেন্সীরা ভারতের সংবিধানকে অস্বীকার করে। শিক্ষকদের ফতোয়া এ ভীষণ অপমানজনক ও লজ্জাজনক!সরকার যদি এই অভিযোগের সমাধান না করেন তাহলে আমরা কোলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো”। এ বিষয়ে ফোনে কারিগরী শিক্ষামন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন “