আপনজন ডেস্ক: ইউরোপ ও আমেরিকার বড় বড় শহরে গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি সপ্তাহের মতো গত ২৭ জানুয়ারি বিশ্বের বড় শহরগুলোতে গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবি জানানো হয়। ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে বিক্ষোভকারীরা গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ বন্ধ এবং স্বাধীনতার দাবি জানায়।
সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতিতে বিশাল সমাবেশ হয়।
এতে অংশ নেওয়া ১৫ হাজারের বেশি মানুষ গাজায় চলমান যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ এবং ইসরায়েলের দখলদারি বন্ধের আহ্বান জানায়। এ সময় তারা তেলআবিবকে সহযোগিতা করায় যুক্তরাষ্ট্র ও সুইডেনের নিন্দা জানায়।
এদিকে জার্মানির রাজধানী বার্লিনে বিক্ষোভকারীরা গাজায় অবিলম্বে গণহত্যা বন্ধের দাবি জানায়। এ সময় তারা ইসরায়েলের প্রতি জার্মান সরকারের নিঃশর্ত সমর্থনের নিন্দা জানায়।
তা ছাড়া গ্রিসের রাজধানী এথেন্সেও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতে ফ্রিডম পার্কে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়। তারা গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ এবং ফিলিস্তিনি জনগণের সাহায্যে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায়।
এদিকে হামাসের হামলার সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনআরডাব্লিউএ) কর্মীরা জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে ইসরায়েল। এ অভিযোগে এরই মধ্যে ব্রিটেন, ইতালি, ফিনল্যান্ডসহ ১০টি দেশ সংস্থাটির তহবিল স্থগিত করার ঘোষণা দেয়।
তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা আগে থেকে তহবিল স্থগিত রাখে। এরই মধ্যে সংস্থাটির ১২ কর্মীকে বরখাস্ত করে এ ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। এদিকে গাজায় রক্তক্ষয়ী সামরিক অভিযান থামাতে দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলকে ‘গণহত্যামূলক কর্মকাণ্ড’ ঠেকাতে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেয় আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে)। ফিলিস্তিনিরা স্বাগত জানালেও ইসরায়েলি সরকার আদালতের এই নির্দেশনাকে উড়িয়ে দিয়েছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ২৬ হাজার ২৫৭ জন নিহত এবং ৬৪ হাজার ৭৯৭ জন আহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct