সারিউল ইসলাম, মুর্শিদাবাদ, আপনজন: লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে গত ২৩ শে জানুয়ারি মঙ্গলবার জিয়াগঞ্জ থানার বাধাল এলাকার এক প্রসূতি জেসমিন বিবি ভর্তি হন। সেদিন রাতেই তার সিজার করা হয় এবং জন্মের পর থেকে শিশুর অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক হওয়ায় এসএনসিইউ তে রাখা হয়। পরে শিশুর মৃত্যু হলেও পরিবারকে জানানো হয়নি। বুধবার পরিবারকে বলা হয় সিজারের সময় কিছু একটা ত্রুটি হয়েছে সেটি সংশোধন করার জন্য আবারও অস্ত্রপচার করতে হবে। সেইমতো ওই দিনই বিকেল তিনটে নাগাদ আবারো অস্ত্রোপচার করা হয় সেই প্রসূতির।
পরপর দু’দিনে দুবার অস্ত্রপাচারের কারনে তার মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। পরিবারের আরও অভিযোগ, অস্ত্র পচারের বেশ কয়েক ঘন্টা পর সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ তাদের জানানো হয় মৃত্যুর খবর। তার পরেই বুধবার রাত থেকে হাসপাতাল চত্বরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের আত্মীয়রা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই হাসপাতাল চত্বরে পরিবারের ক্ষোভে চাঞ্চল্য ছড়ায়। এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনোরকম মুখ খোলেননি। সঠিক তদন্ত করে হাসপাতাল এবং ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের আর্জি জানিয়ে মুর্শিদাবাদ থানা, হাসপাতাল সুপার এবং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার। বৃহস্পতিবার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ। এই নিয়ে সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে বিভিন্ন রকম। কেউ কেউ বলেন, ‘হাসপাতালের ডাক্তাররা তাড়াহুড়োতে থাকেন, কখন তারা নিজেদের চেম্বারে যাবেন, তাই পাইকারী চিকিৎসা করেন তারা।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct