চন্দনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুন্দরবন, আপনজন: পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের তত্ত্বাবধানে সুন্দরনবন ব্যাঘ্র প্রকল্প ও ২৪ পরগনা বন বিভাগের মৌলেরা বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে জঙ্গল থেকে মধু সংগ্রহ করতে যান। জয়নগরের মোয়ার পরে এ বার জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন) তকমা পায় সুন্দরবনের মধু। বছরের শুরুতেই জলপাইগুড়ির কালোনুনিয়া চাল, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমানের টাঙ্গাইল, মুর্শিদাবাদ, বীরভূমের গরদ এবং কোরিয়াল শাড়ির সঙ্গে জিআই তকমা পেয়েছে সুন্দরবনের মধুও। পুণের একটি সংস্থাকে হারিয়ে এই তকমা মিলেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের জিআই পোর্টালে সুন্দরবনের মধুর নাম নথিভুক্ত হয়েছে ইতিমধ্যে। পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের তত্ত্বাবধানে সুন্দরনবন ব্যাঘ্র প্রকল্প ও ২৪ পরগনা বন বিভাগের মৌলেরা বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে জঙ্গল থেকে মধু সংগ্রহ করতে যান। মাসখানেক ধরে জঙ্গলে মৌচাক খুঁজে সেখান থেকে মধু সংগ্রহ করেন। বন দফতর নির্দিষ্ট দামে তা মৌলেদের থেকে কিনে নেয়। সেই মধুই গত কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগম প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে ‘মৌবন’ নামে বাজারজাত করছে। এই মধু বন উন্নয়ন নিগমের বিভিন্ন কটেজ-সহ বন দফতরের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র থেকে বিক্রি করা হয়।কোভিড পরবর্তী সময়ে সুন্দরবনের মধুর চাহিদা যথেষ্ট বেড়েছে।আর এই চাহিদার কথা মাথায় রেখে মৌলেরা যাতে আরও বেশি মধু সংগ্রহ করতে উৎসাহিত হন, সে কারণে গত মরসুম থেকেই মৌলেদের বাড়তি দাম দিতে শুরু করেছে বন দফতর। গত এপ্রিলে ৭৫টি দল মধু সংগ্রহ অভিযানে গিয়েছিল সুন্দরবনে। ৫৭৬ জন মৌলে এক মাস ধরে দু’দফায় সুন্দরবনের জঙ্গল থেকে মধু সংগ্রহ করেন। কেজি প্রতি ৪৫-৭০ টাকা করে বাড়তি দাম দেওয়া হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct