এম মেহেদী সানি, বসিরহাট, আপনজন: রেশন দুর্নীতি কান্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর (ইডি) যখন বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সন্দেশখালীর তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে ব্যস্ত তখন বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের উদ্যোগে প্রান্তিক ময়দানে কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে সরব হলেন তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা। বুধবার দুপুরে বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিধায়ক হাজী নুরুল ইসলাম, চেয়ারম্যান সরোজ ব্যানার্জিদের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত জনসভা থেকে তৃণমূল নেতৃত্বরা ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা সহ একাধিক কেন্দ্রীয় বঞ্চনা ও তৃণমূল নেতাদের উপর কেন্দ্রীয় বিভিন্ন এজেন্সী দ্বারা কালিমালিপ্ত করার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা করেন। পাশাপাশি লোকসভা ভোটের আগে দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বহুলালোচিত রাম মন্দিরের উদ্বোধন প্রসঙ্গেও সমালোচনা শোনা যায় তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের মুখে।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের কোর কমিটিতে স্থান পাওয়া বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বোস ১৯০৫ সালে সঙ্ঘবদ্ধ বাঙালিদের বঙ্গভঙ্গ রুখে দেওয়ার মতো দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বর্তমান বাংলায় বিজেপির ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের তদন্তকারী এজেন্সির বিরুদ্ধেও সুর চড়ান। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। রাজ্যে কেন্দ্রীয় এজেন্সির অতি সক্রিয়তা নিয়ে বলতে গিয়ে পার্থ ভৌমিক বলেন ‘রাজ্যের ২১২ জন তৃণমূল বিধায়ককে জেলে ভরে দিলেও তৃণমূলকে দমানো যাবে না’ মন্ত্রীর মতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাই যথেষ্ট। রাম মন্দির প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখার সময় পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘ভোট পাওয়ার জন্য বিজেপি ভগবানকে ব্যবহার করছেন।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই রবীন্দ্র-নজরুলের সৌভাতৃত্বের বানীকে পাথেয় করে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেন বলে মনে করেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। বিধানসভার সরকার পক্ষের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ বলেন, ‘ভগবান রামকে সামনে রেখে ভারতবর্ষকে ভাগ করতে চায় বিজেপি, এটা কখনোই কাম্য নয়।’ এদিন তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে বক্তব্য রাখেন। জনসভা থেকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী প্রধানমন্ত্রীকে বাবাজি বলে কটাক্ষ করেন। পাশাপাশি বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কলাগাছকে প্রার্থী করলেও তিন লক্ষের অধিক ভোটে তৃণমূল জয়লাভ করবে বলে আশাবাদী নারায়ণ গোস্বামী। এদিন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক রফিকুল ইসলাম, দেবেশ মন্ডল, ডাঃ সপ্তর্ষী ব্যানার্জী, সুকুমার মাহাতো, ঊষারানী মন্ডল, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ, বুরহানুল মুকাদ্দিম লিটন, তৃণমূল নেতৃত্ব বাদল মিত্র প্রমুখ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct