নকীব উদ্দিন গাজী, আলিপুর, আপনজন: প্রতিবছরই প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিতে বাৎসরিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে আর সেই কারণেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষা দপ্তরের উদ্যোগে ২০০৯ সাল থেকে এই ক্রীড়া অনুষ্ঠানের জন্য শিক্ষা দপ্তর একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বরাদ্দ করে। যেখানে জেলার জন্য ৭ লক্ষ টাকা, সাব ডিভিশনের জন্য ১ লক্ষ টাকা ও সার্কেলের জন্য ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। পাশাপাশি এই বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় স্বচ্ছতা আনতে একটি ১১ জনের কমিটি ও গঠন করে দেওয়া হয় শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে যেখানে দুজন জেলার কো-অর্ডিনেটর এবং 9 জন সদস্য। কিন্তু তার পরেও এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাৎসরিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে প্রায় কয়েক কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বুধবার ডায়মন্ডহারবার ডিপিএসসি চেয়ারম্যানের কাছে একটি ডেপুটেশন দেন। মূলত শিক্ষকদের একাংশের দাবি জেলায় মোট ৫১ টি চক্র রয়েছে সেই চক্রের বাৎসরিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে কে কেন্দ্র করে শিক্ষকদের ও স্কুলের কাছ থেকে জোড়পূর্বক টাকা আদায় করা হচ্ছে এবং এর পেছনে s.I এর মদত রয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষকদের। মূলত তাদের দাবি শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে ক্রীড়া অনুষ্ঠানের জন্য যে টাকা বরাদ্দ হয় সেই টাকায় ভালোভাবে ক্রীড়া অনুষ্ঠান সংগঠিত করা যায় কিন্তু তারপরেও জোরপূর্বক ভয় দেখিয়ে শিক্ষক ও স্কুলের কাছ থেকে কোন নিয়ম ছাড়াই এইভাবে টাকা তোলা হচ্ছে এবং তার সব মিলিয়ে অংকটা প্রায় কয়েক কোটি টাকা। আর এই বিষয় নিয়েই ডায়মন্ডহারবার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান এর কাছে তারা একটি ডেপুটেশন দেন। এমনকি তাদের দাবি শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে যে ১১ জনের কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে তাদের কোন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। তবে এই বিষয় নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানায় এই ধরনের বিষয় তিনি এখনো পর্যন্ত জানেনা তবে টাকা নেওয়ার কোন নিয়ম নেই যদি কেউ নিয়ে থাকে তার তদন্ত করে দেখবেন তিনি।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct