আপনজন ডেস্ক: বারাণসীর জ্ঞানবাপি মসজিদ চত্বরে বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার রিপোর্ট আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই) কিছুদিন আগে জেলা আদালতে জমা দিয়েছে। বুধবার সেই রিপোর্ট দু পক্ষকে দিতে হবে বলে নির্দেশ দিল বারাণসীর একটি আদালত।জেলা বিচারক অজয় কৃষ্ণ বিশ্বেশ হিন্দু ও মুসলিম মামলাকারীদের আইনজীবীদের বক্তব্য শোনার পর এই রায় দেন। এএসআই ইমেইল মারফত রিপোর্ট দেওয়অর কথা বললে কোর্ট জানায় রিপোর্টের সার্টিফায়েড কপি দু’পক্ষকেই দিতে হবে। হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন বলেন, আদালত এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আদেশ দেওয়ার পরে বিরোধী পক্ষ প্রতিবেদনের সার্টিফায়েড কপির জন্য আবেদন করতে পারে। দু’পক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এএসআই রিপোর্টের সার্টিফায়েড কপি নেওয়ার আগে আদালত তাদের একটি হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে যে তারা রিপোর্টটি জনসমক্ষে প্রকাশ করবে না। যদিও হিন্দু ও মুসলিম পক্ষ এএসআইয়ের সমীক্ষা রিপোর্টের প্রতিলিপি চেয়েছে।এএসআই গত মাসে আদালতে দুটি মুখ বন্ধ খামে সমীক্ষা রিপোর্ট জমা দিয়েছিল। জ্ঞানবাপি মসজিদ চত্বরের মাটির নিচে কী রয়েছে তা জানার জন্য এএসআই ৪ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া বৈজ্ঞানিক জরিপের সময় ভূমি অনুসন্ধানকারী রাডার এবং অন্যান্য বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেছিল। এএসআই দলটি ‘উজুখানা’ (যেখানে মুসলিম মুসল্লিরা নামাজ পড়ার আগে নিজেদের ধোয়ার স্থান) বাদে ভিতরের এবং বাইরের দেওয়ালএবং প্রাঙ্গণের অন্যান্য অংশও সশীক্ষা করেছিল।এএসআই-এর বৈজ্ঞানিক সমীক্ষার জন্য বারাণসী আদালতের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে মুসলিম মামলাকারীদের দায়ের করা আবেদন এলাহাবাদ হাইকোর্ট খারিজ করার পরে জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে সমীক্ষা শুরু হয়েছিল।উল্লেখ্য, রাম মন্দির মামলায় শীর্ষ আদালতের অনুকূল সিদ্ধান্তের পর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির চত্বর গেরুয়া সংগঠনগুলির ‘ফিরিয়ে নেওয়ার’ জন্য নতুন করে আওয়াজ তোলে।হিন্দুদের দাবি, সপ্তদশ শতাব্দীতে মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব মন্দিরের একটি অংশ ভেঙে ফেলেছিলেন। মুসলিম পক্ষ দাবি করে, মসজিদটি ঔরঙ্গজেবের রাজত্বের আগে বিদ্যমান ছিল এবং ভূমি রেকর্ডেও এর উল্লেখ রয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct