এম মেহেদী সানি, গোবরডাঙ্গা, আপনজন: রবিবার প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বহুলালোচিত রাম মন্দিরের উদ্বোধন হয়েছে, এ কারণে অর্ধদিবস ছুটিও ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার ৷ সোমবার গোবরডাঙ্গা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে রাম মন্দির প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে সরব হন রাজ্যের খাদ্য মন্ত্রী রথীন ঘোষ ৷ তিনি বলেন, ‘আসলে রাম সকলের কাছে একটা আবেগ, কেউ কেউ রামকে নিজেদের মতো করে ব্যবহার করছে ৷ আমরা এটা মনে করি বাংলার কৃষ্টি সংস্কৃতি - এখানে যেমন রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ আছেন তেমনি রামও আছেন ৷ কিন্তু ধর্মের নামে একটা বিভাজনের চেষ্টা চলছে ৷ আমি এটা মনে করি, ভারতবর্ষের ধর্মনিরপেক্ষ যে চরিত্র সংবিধানে বলা আছে - এটা রাম রহিম সকলের দেশ, অতএব এটা নিয়ে বিভাজন হবে না ৷ রাম কারোর একার না, রাম সকলের’ বলেও মন্তব্য করেন রথীন ঘোষ ৷ পাশাপাশি গোবরডাঙ্গার ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরে গোবরডাঙ্গা উৎসব নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি ৷ ২৩শে জানুয়ারি মঙ্গলবার নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে গোবরডাঙ্গা পৌরসভার উদ্যোগে, পৌরপ্রধান শংকর দত্তের পৌরোহিত্যে সূচনা হলো গোবরডাঙ্গা উৎসবের ৷ গোবরডাঙ্গা এলাকার সমস্ত সরকারি বিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সহ কয়েক হাজার গোবরডাঙ্গাবাসীর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে উৎসবের সূচনা হয় ৷ চলবে আগামী শনিবার পর্যন্ত ৷ পৌরপ্রধান সংকর দত্ত গোবরডাঙ্গা উৎসব থেকে সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশে সকলকে এগিয়ে আসার পাশাপাশি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রাখে গোবরডাঙ্গাবাসীর মধ্যে সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধন অটুট রাখার বার্তা দেন ৷ এদিন গোবরডাঙ্গা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী, বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, প্রাক্তন সাংসদ মমতা ঠাকুর, জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ অজিত সাহা, বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ মফিদুল হক মিন্টু সাহাজি, পৌর প্রধান নিমাই ঘোষ, জয়া দত্ত, ইলা বাকচি প্রমুখ ৷ উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা সকলেই গোবরডাঙ্গা উৎসবের কর্মসূচি এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নিয়ে ভূয়সী প্রশংসা করেন ৷
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct