নিজস্ব প্রতিবেদক, বীরভূম, আপনজন: গরুপাচার মামলায় বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে নতুন দায়িত্ব পেয়েছিলেন তৃণমূল নেতা কাজল শেখ। তাঁকে সামনে রেখেই তৈরি করা হয়েছিল কোর কমিটি। যার পর থেকেই বীরভূম জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু কয়েক মাস যেতে না যেতেই তাঁকে সেই কমিটি থেকে সরিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিন বৈঠকে ৯ জনের পরিবর্তে পাঁচজনের কমিটি চূড়ান্ত হয়। যেখানে থাকছেন অভিজিৎ সিনহা, চন্দ্রনাথ সিনহা, সুদীপ্ত, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী। কাজলের পাশাপাশি কমিটি থেকে বাদ পড়লেন বিশ্ববিজয় মাড্ডি এবং দুই সাংসদ শতাব্দী রায় ও অসিত মাল। কাজলের কর্মপদ্ধতি নিয়ে ওই জেলার বিধায়কদের থেকে একাধিক অভিযোগ পেয়েছিলেন মমতা। তারপরই এহেন সিদ্ধান্ত। কাজলকে আপাতত নানুর ও কেতুগ্রামের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে কেষ্টর গড় নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রীবভূমে ৯ জনের কোর কমিটির পরিবর্তে এবার ৫ জনের উপর সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হল। এমনকী ছাঁটা হল কাজল শেখের ডানাও।বিশ্বভারতী কাণ্ডে চেয়ার ছেড়ে ওঠা মনে করিয়ে এদিন কাজল শেখকে রীতিমতো ধমকের সুরে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “তুমি কত বড় নেতা যে চেয়ার ছেড়ে উঠে গেলে? তুমি শুধু জেলা পরিষদের সভাধিপতি। গোটা বীরভূম দাপিয়ে বেড়ানোর দরকার নেই। জেলার একটা কোর কমিটি করে দেওয়া হল। সেখানে আপাতত তোমার থাকার দরকার নেই। প্রয়োজন হলে তোমায় নেওয়া হবে।” কমিটি থেকে তাঁকে ছেঁটে ফেলে তৃণমূল নেত্রী যেন বার্তা দিলেন যে, ভোটের আগে সকলকে নিয়ে একসঙ্গে সমন্বয় করে চলতে হবে। চব্বিশের ভোটের আগে বিভিন্ন জেলার সংগঠনের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে বৈঠক করছেন মমতা। ইতিমধ্যেই দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও মুর্শিবাদাবাদ জেলা সংগঠনের বৈঠকে ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার কালীঘাটের অফিসে বীরভূম জেলা সাংগঠনিক বৈঠক ছিল। যদিও সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ড্রাফটিংয়ের কাজে ব্যস্ত থাকায় তিনি আসতে পারেননি বলে জানান মমতা।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct