সাদ্দাম হোসেন, জলপাইগুড়ি, আপনজন: কেক তৈরী করে স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে ধূপগুড়ির প্রত্যন্ত গ্রামের গৃহবধূ সুলতানা। সারাদিন সংসারের নানান কাজের ফাঁকে দায়িত্ব সহকারে কেক তৈরি করেন। নিজের হাতে তৈরি করা কেক বাণিজ্যিকভাবে বিক্রিও শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে পরিচিত মিলেছে ধূপগুড়ি শহরে এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতেও বহু সংখ্যক ফলোয়ার কুড়িয়েছেন নিজের তৈরী করা কেক এর ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে। স্বনির্ভরতায় পথ দেখতে শুরু করেছেন ধূপগুড়ি মহাকুমার মাগুরমারী এক নং গ্রামের পাইকারপাড়ার সুলতানা পারভীন। কেক এর উদ্যোগ প্রশংসা পাচ্ছে সর্বত্রই। কেক বানানোর পাশাপাশি কেক শেখানোর ক্লাসও করান তিনি। ধূপগুড়ি মহাকুমার সুলতানা অবসর সময়ে নিজেকে আবদ্ধ করেছেন বাড়ির মধ্যেই কেক তৈরিতে। সেখানে নিজ উদ্যোগেই তৈরি করে চলেছেন বিভিন্ন ধরনের কেক। যার মধ্যে রয়েছে ফ্রুট কেক, জার কেক, থিম কেক ইত্যাদি। জন্মদিন সহ বিবাহবার্ষিকী বা অন্যান্য যে কোনও অনুষ্ঠানেরই কেক তৈরি করে চলেছেন। কেকের মধ্যেই ফুটে উঠেছে নিজস্ব চিন্তাভাবনা এবং নিজস্ব কলাকুশলতার পরিচয়। নিজের প্রতিষ্ঠানকে সকলের কাছে পরিচিতি ঘটিয়েছেন বেকারস প্যারাডাইস নামে। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে খুজলেই পেয়ে যাবেন উনার তৈরি করা কাজের ছবি। সুলতানা জানান, ‘সংসারের বিভিন্ন কাজ সামলে নিজেকে ভালো কোনও কাজে ব্যস্ত রাখাতেই কেক তৈরি করছি। এখন বাড়িতে বসেই নিজের হাতেই কেক তৈরি করছি। কেক তৈরির বিভিন্ন ফ্লেভারের কেক নিজের হাতেই প্রস্তুত করেছি।’ সুলতানার তৈরি কেক বিভিন্ন মহলেই সুনাম অর্জন করেছে। স্বল্পমূল্যের বিনিময়ে সুস্বাদু কেক তৈরি করে গ্রামের এই গৃহবধূ নিজেকে বাড়তি আরও কিছুটা রোজগারের জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করতে চান। ইতিমধ্যেই উনার কেক ধূপগুড়ি শহরকে অতিক্রম করে পার্শ্ববর্তী ময়নাগুড়ি, জলপাইগুড়ি, ফালাকাটা ও বানারহাটেও পাড়ি দিয়েছে। ধূপগুড়ির রাজু সরকার বলেন, ‘সম্প্রতি ভাগ্নীর জন্মদিনে সুলতানার তৈরি কেক নিয়ে ভাগ্নীকে উপহার দিয়েছিলাম। সেই কেকের স্বাদ সকলের ভালো লেগেছে।’ ফালাকাটা শহরের বাসিন্দা রজব আলী বলেন, ‘বন্ধুদের মুখে শুনে একটি অ্যানিভার্সারি থিম কেক সুলতানা ম্যাডামের থেকে নিয়েছিলাম। যা সকলের কাছেই বেশ প্রশংসিত হয়েছে।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct