নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, আপনজন: হাজার হাজার টাকার বিনিময়ে জাল প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট বানিয়ে দেওয়ার অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার এক হোম গার্ড সহ মোট তিন প্রতারক। এই নিয়ে মঙ্গলবার শোরগোল পড়ে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায়।প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে,সোমবার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের বিডিও সৌমেন মণ্ডল রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর শালদহ গ্রামে পাড়ায় সমাধান প্রকল্পের শিবির করেন।এদিন ওই শিবিরে উপভোক্তারা তাদের সমস্যা নিয়ে এসেছিল।সেই সময় ওই গ্রামের বিশেষভাবে সক্ষম আতাউর রহমান নামে এক উপভোক্তা ভাতার আবেদনের জন্য শংসাপত্র জমা দেন।সেই শংসাপত্র দেখেই সন্দেহ হয় বিডিওর।খতিয়ে দেখেই জানা যায় সেই শংসাপত্র জাল।তারপরেই সামনে আসে ওই চক্রের কুকীর্তি।এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তুলসিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের পারো গ্রামের বাসিন্দা নুর আলম যিনি মালদা পুলিশ লাইনে হোমগার্ড পদে কর্মরত।তার সঙ্গে রয়েছেন তার জামাইবাবু তথা স্থানীয় তৃণমূল কর্মী নাজিমুল হক এবং মামুন আলি নামে এক ছাপাখানার মালিক।তৃণমূল কর্মী নাজিমুল হককে এলাকার মানুষ আটক করে। তারপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।এরপর নুর আলম এবং মামুন আলিকেও গ্রেপ্তার করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত,তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েত ও বরুই গ্রাম পঞ্চায়েত সহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘ পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে এই জাল চক্র চালাচ্ছিলেন তারা। হাজার হাজার মানুষ প্রতারিত হয়েছেন এদের কাছে।এমনকি বিশেষভাবে সক্ষম নয় কিন্তু ভাতা পাওয়ার লোভ দেখিয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে অনেককে জাল শংসাপত্র দিয়েছেন অভিযুক্তরা। এর বিনিময়ে কারও কাছ থেকে ৩ হাজার,আবার কারও কাছ থেকে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে।মঙ্গলবার ধৃত ওই তিন অভিযুক্তকে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি দেবদূত গজমের জানান,আরো কারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct