আরবাজ মোল্লা, নদিয়া, আপনজন: বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে রামমন্দির নির্মাণকে ঘিরে কৃষ্ণনগর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করল গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা কমিটি বা এপিডিআর। রাম মন্দির উদ্বোধন নিয়ে কেন প্রধানমন্ত্রী, অমিত শাহ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে হাফ ছুটি ঘোষণা করেছেন তা নিয়ে প্রতিবাদ জানান। এপিডিআরের অভিযোগ, কোন সরকারে ধর্মীয় রাজনীতি করার অধিকার ভারতীয় সংবিধান অধিকার দেয়নি। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সংবিধানকে শেষ করে রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে রাজনীতি করছে। তার বিরুদ্ধে কৃষ্ণনগগর পোস্ট মোড়ে এপিডিআর বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করল। এপিডিআরের রাজ্য ভাইস প্রেসিডেন্ট তাপস চক্রবর্তী বলেন, রামমন্দির উদ্বোধন হবে অযোধ্যায়। আমরা রাম পাঠ, জঙ্গি পাঠ, গীতা পাঠ নয় আমরা চাই সংবিধান পাঠ। যার মাধ্যমে মানুষের খাদ্য, বস্ত্র ও শিক্ষা নিয়ে রাজনৈতিক সমাজের আলোকিত হয়। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার দশ বছর ধরে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। অথচ, গান্ধীজি মৃত্যুর আগে বলে গেছেন, ঈশ্বর আল্লাহ তেরে নাম সবকো সম্মতি ভগবান। কালিদাস বলে গেছেন রাম দেবতা নয় দশের গুনে আর পাঁচটা মানুষ মতো। রাম ভক্ত আছেন তারা বাড়িতে গিয়ে রাম নাম করুন মন্দির গিয়ে করুন। এতো পয়সা খরচে করে রাম মন্দির নির্মাণ করেছে যে দেশে ক্ষুধা এবং দারিদ্র্য ১০১ নম্বরে নেমে গেছে সেই দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে রাম মন্দির করার কি প্রয়োজন আছে। এপিডিআর নেতৃত্ব আরও বলেন, লকডাউনে ৪৫ কোটি মানুষ তার জীবিকা হারিয়েছে। কিভাবে তার জীবিকা সংস্থান হবে, কৃষকরা তাদের ফসলের দাম পাবে, শ্রমিক তার ন্যায্য মজুরি পাবে তা এখনো রাজনীতি চর্চার বিষয়। কিন্তু ভারত জুড়ে মন্দির মসজিদ গির্জা নিয়ে রাজনীতি করছে। যে যার ধর্ম সে পালন করুক আমাদের কোন আপত্তি নেই ভারতের সংবিধান প্রত্যেক ধর্মের মানুষকে ধর্ম পালনের অধিকার দিয়েছে। এপিডিআরের আরও অভিযোগ,রাজনৈতিকভাবে সমাজকে বিভক্ত করে দেওয়া হয় হিন্দু, মুসলিমদের, আদিবাসী, খ্রিস্টানদের। আলাদা সম্প্রদায়গতভাবে কীভাবে ভাগ করা হয় সেই প্রচেষ্টা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দীর্ঘদিন ধরে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেই প্রচেষ্টার অন্যতম ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাম মন্দির নির্মাণ প্রতিষ্ঠাতা করছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct