আলম সেখ, কলকাতা, আপনজন: ধর্মীয় ক্ষেত্রে কোন রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ চলবে না, কোনো ধর্মালয় বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে খরচ করা সংবিধান বিরোধী এর বিরুদ্ধে ভারতের সমস্ত ধর্ম নিরপেক্ষ সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সমাজ সেবি সংগঠন গুলোকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে, সোমবার ২০০ সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত ফ্যাসিবাদ বিরোধী মহা মিছিল ও মহা সম্মেলন থেকে বিভিন্ন বক্তারা এই বার্তাই দিলেন। বক্তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী তিস্তা শীতলবাদ, গুজরাট গণহত্যার প্রত্যক্ষ দোষী অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস- হর্ষ মান্দার, কবি গহর রাজ, বিশিষ্ট চিকিৎসক বিনায়ক সেন, সাপ্তাহ পত্রিকার সম্পাদক দিলীপ চক্রবর্তী, সিপিআইম এর লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী সুজাত ভদ্র, রাজ্য সভার সাংসদ সমিরুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী হিন্দের জাতীয় সহ সভাপতি মালিক মোতাসিম খান, রাজ্য সভাপতি ডঃ মসিউর রহমান, এসডিপিআই-এর রাজ্য সভাপতি তায়েদুল ইসলাম,সহ সভাপতি মুহাম্মদ সাহাবুদ্দিন প্রমুখ। এদিন সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে বিশাল এক বিক্ষোভ মিছিল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পৌঁছায় এবং অনুষ্ঠিত হয় এক মহা সম্মেলন। সম্মেলন থেকে বক্তারা বলেন,ভারতের যে দল ক্ষমতায় রয়েছে সেই বিজেপি সরকার আর এস এস এবং কর্পোরেট হাউস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। নরেন্দ্র মোদী যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন তিনি সেই কর্পোরেটদের নির্দেশে মুসলিম গণহত্যা সংঘটিত করেন। ব্যাপক সংখ্যক সংখ্যালঘু হত্যা করেন। আজ সেই মোদি দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে একের পর এক হিন্দুত্ববাদী নীতি গুলো কার্যকর করছেন। এরা ভারতের সংবিধান, গণতন্ত্র মানেন না, ভারতের বহুত্ববাদী সংস্কৃতি মানে না, এরা ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানাতে চায় এবং তার প্রক্রিয়া রাম মন্দির দিয়ে শুরু করছে। আগামি দিনে ভারতে ঘোর বিপদ আসন্ন তাই এই শক্তিকে রুখতে গেলে ভারতের সমস্ত ধর্ম নিরপেক্ষ সংগঠন গুলোকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে রাস্তায় নামতে হবে এবং এই লড়াই আন্দোলনের প্রক্রিয়া লাগাতার জারি রাখতে হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct