মোল্লা মুয়াজ ইসলাম, বর্ধমান, আপনজন: মহান স্বাধীনতার সংগ্রামী বীর বিপ্লবী তথা আজাদ হিন্দ বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা রাসবিহারী বসুর মৃত্যু দিন পালিত হল গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে তার জন্মভূমি রায়না সুবলদহগ্রামে। প্রথমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রায়নার বিধায়িকা শম্পা ধারা তারপর বিপ্লবী প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। একুশে জানুয়ারি ১৯৪৫ সালে এই দিনে মহান বীর বিপ্লবী ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির প্রতিষ্ঠাতা রাসবিহারী বসু জাপানের টোকিওতে মৃত্যুবরণ করেন। ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসে রাসবিহারী বসু অমর অক্ষয় হয়ে রয়েছেন। বিশেষজ্ঞ এবং ঐতিহাসিকরা বলেন রাসবিহারী বসু জন্ম গ্রহণ না করলে এবং আজাদ হিন্দ বাহিনীর প্রতিষ্ঠা না হলে ভারতের স্বাধীনতা অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে যেত। ২৫ শে মে ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে রায়নার সুবলদহ গ্রামে রাসবিহারী বসু জন্মগ্রহণ করেন। কুরআনে হাফেজ এক মৌলভী সাহেবের স্কুলে প্রাথমিক পড়াশোনা শুরু করেন। ওই মৌলভী সাহেবের অনুপেরনায় গভীরভাবে স্বাধীনতা সংগ্রামে অনুপ্রাণিত হন। ছদ্মবেশ ধারণ করে ইংরেজ পুলিশকে ধোঁকা দিতে তিনি অত্যন্ত পারদর্শী ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর জাপানে এবং সিঙ্গাপুরে পরাজিত ভারতীয় সৈনিক দেরকে একত্রিত করে তিনি আজাদ হিন্দ বাহিনী প্রতিষ্ঠা করেন। এই আজাদ হিন্দ বাহিনী আরেক বীর বিপ্লবী স্বাধীনতা সংগ্রামী সুভাষ চন্দ্র বসুকে প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করেন। আজাদ হিন্দ বাহিনীর আপোষহীন অসম লড়াইয়ের ফলে ভারত স্বাধীনতা অর্জন করে। বিপ্লবী রাসবিহারী বসুকে ভারত রত্ন দিয়ে সম্মানিত করেননি ও বিপ্লবীর বসত বাটি আজও অবহেলিত। কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের মন্ত্রী বারবার এসেছেন বিল্পবীর ভিটেয় কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অবজ্ঞায় অবহেলায় আজও তার বসতভিটা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct