এম মেহেদী সানি, বসিরহাট, আপনজন: হাসনাবাদের বরুনহাটে বিগত দিনের এক প্রবীণ রাজনৈতিক সহকর্মীকে দেখতে এসেছিলেন সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক মহলে বহুলালোচিত ফিরোজ কামাল (বাবু মাস্টার) ৷ এ দিন বাবু মাস্টারের সমর্থকদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি কার্যত বাবু মাস্টারকে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করে ৷ অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কর্মসূচি বাতিল করতে হয় বাবু মাস্টা কে ৷ বিপুল কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতিতে হাসনাবাদ হিঙ্গলগঞ্জ রোড প্রায় আধঘন্টা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী, কর্মসূচি বাতিল করে স্থান ছাড়েন বাবু মাস্টার ৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, উপস্থিত বাবু মাস্টার সমর্থকদের মধ্যে বিপুল সংখ্যক তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি বামফ্রন্ট সহ অন্যান্য দলের কর্মী-সমর্থকরাও উপস্থিত ছিলেন ৷ তাদের অবশ্য দাবী, দল বড় নয় তাদের কাছে ব্যক্তি হিসেবে বাবু মাস্টার অনেক বড় স্থানে রয়েছেন ৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য মনে করছেন বাবু মাস্টার তৃণমূলেই ফিরবেন ৷
গত কয়েকদিন আগে হাসনাবাদের ভেবিয়া হরিসভার মহারাজের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে যাওয়ার সময় কয়েক হাজার অনুগামীদের নিয়ে অরাজনৈতিক ভাবে মিছিল করেন বাবু মাস্টার । এ দিন রবিবার আবারও একই চিত্র দেখা গেল হাসনাবাদ ব্লকের বরুনহাটে ৷ এদিন বাবু মাস্টারকে দেখামাত্রই হাজার হাজার মানুষ উচ্ছ্বাসে ভেসে যান । এই নেতার পরিচয় বলতে উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদ মডেল হাইস্কুলের শিক্ষক । সেই চাকরি অবশ্য পেয়েছিলেন ২০০১ সালে বাম জমানায় । রাজ্যে পালাবদলের পর সিপিএম ছেড়ে তিনি তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী ও জেলা তৃণমূলের দাপুটে নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ধরে যোগ দের শাসকদলে । ২০১৮ সালে জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন ৷ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে দলের তরফে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয় তৃণমূল নেতা ফিরোজ কামালকে । সেবার লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট কেন্দ্র থেকে নুসরাত জাহান বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। এরপর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে শাসকদলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে ফিরোজ কামালের । ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান বাবু মাস্টার। যদিও ভোটের কয়েক মাসের মধ্যেই বিজেপির প্রতি মোহভঙ্গ হয়ে দল ছাড়েন তিনি। চেষ্টা করেন পুরনো দল তৃণমূলে ফিরে আসার। যদিও সেই সময় তৃণমূল নেয়নি বাবু মাস্টারকে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct