নিজস্ব প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম, আপনজন: পুলিশ নয়, ওঝা ডেকে চোর ধরা হচ্ছে নন্দীগ্রামে। তাও আবার পঞ্চায়েত প্রধানের সরকারি প্যাডে দেওয়া অনুমতি নিয়ে। ভারত চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান থ্রি পাঠালেও এই বর্বরতা আজও নন্দীগ্রামে অটুট রয়েছে। নন্দীগ্রাম দু’নম্বর ব্লকের বিরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত, দীর্ঘদিন তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে ছিল। ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে বিজেপি। বিরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা শিব শংকর জানা নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে সোনার গহনা চুরি যায়।এই চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামে পঞ্চায়েত সদস্যের উপস্থিতিতে সালিশি সভা বসে। সেই সভায় ঠিক হয় ওঝা ডেকে চোর ধরা হবে। ওঝা ডেকে চোর ধরার অনুমতি স্বরূপ,বিরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্যাডে, পঞ্চায়েত সদস্য এবং ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান স্বাক্ষর করেন।পরবর্তীতে ওঝা এসে স্থানীয় ভাষায় “নল ধরকা” নামের কোন বস্তু দিয়ে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা বনবিহারী জানা নামের এক ব্যক্তির পরিবারকে সনাক্ত করেন।ওঝা চোর সনাক্ত করার পরেই বনবিহারী জানার পরিবারের উপর নেমে আসে নির্মম অত্যাচার। মারধর থেকে শুরু করে বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।অসহায় হয়ে শেষ পর্যন্ত বনবিহারীবাবু তিনি নন্দীগ্রাম থানার দ্বারস্থ হন। তিনি ওই এলাকার কয়েকজনের নামে নন্দীগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।যদিও নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।বিরুলিয়া গ্রামের সালিশি সভায় উপস্থিত ওই গ্রামের মনোরঞ্জন মাইতি বলেন”পঞ্চায়েত সদস্য এবং প্রধানের অনুমতিতে আমরা ওঝাকে ডেকে নিয়ে এসেছিলাম এবং “নল ধরকা” দিয়ে চোর ধরা হয়েছিল”। পঞ্চায়েত প্রধান মৈত্রী গুড়িয়া দাস তিনি অবশ্য ওঝা ডেকে চোর ধরার বিষয়ে সরকারি প্যাডে স্বাক্ষর করে অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতে এ ধরনের ঘটনাকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস তৃণমূল কংগ্রেসের নন্দীগ্রাম ১ ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ। তিনি বলেন, বিজেপি যে অধুনিক বিমুখ এটা তার প্রমান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct