নুরুল ইসলাম খান, হুগলি, আপনজন: ১৭৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত পূর্ব ভারতের অন্যতম প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐতিহাসিক সিতাপুর এণ্ডাওমেন্ট সিনিয়র মাদ্রাসার ২৭৩ তম বর্ষপূর্তি উদযাপন হল বুধবার হুগলির সীতাপুরে। নবাবি আমলের এই প্রতিষ্ঠানে একসময় অধ্যয়ন করেছিলেন পূর্ব ভারতের খ্যাতনামা পীর সুফি সাধক তথা যুগ সংস্কার ফুরফুরা শরীফের আবু বকর সিদ্দিকী দাদা হুজুর পীর কেবলা। প্রাচীন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লক্ষ্য লক্ষ্য ছাত্র ছাত্রীরা সফলতার সাথে শিক্ষা লাভ করে সমাজের বুকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। সেই প্রতিষ্ঠান সগৌরবে আজ মাথা উঁচু করে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। প্রতিবছর প্রথম দশ স্থানে এই প্রতিসঠান থেকে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় বহু পড়ুয়া। এদিন মাদ্রাসার বার্ষিক মিলাদ উন নবী ও সংস্কৃতি অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার ইকরা ম্যাগাজিন ও নিজস্ব ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী । তিনি বলেন, যে এই মাদ্রাসা অবশ্যই হেরিটেজ তকমার দাবি রাখে। আমার বিধানসভার এই মাদ্রাসাকে হেরিটেজ করার জন্য যে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন তা আমি নেব। মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল আজিজ আল আমিন সাহেব মন্ত্রী এই ঘোষণায় যারপরনাই খুশি। এছাড়াও মাননীয় মন্ত্রী উক্ত মাদ্রাসার জন্য কিছু টয়লেট, একটি পানীয় জলের জলছত্র, মাদ্রাসাকে মনিটরিং করার জন্য সিসিটিভি প্রদান করার অঙ্গীকার করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধাড়া, হুগলী জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সামিম আহমেদ, জেলা পরিষদের সদস্য সেখ আব্দুল জব্বার, জাঙ্গীপাড়া পঞ্চায়েতের সমিতির সভাপতি তমাল শোভন চন্দ্র, কোতলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সামসের মল্লিক। এছাড়া ছিলেন ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা তথা আল ফারহা মিশনের সাধারণ সম্পাদক তামিম সিদ্দিকী, জমিয়তে উলামায়ে বাংলার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ফুরফুরা সিনিয়র মাদ্রাসার প্রাক্তন শিক্ষক সৈয়দ বাহাউদ্দিন সহ মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও শিক্ষক শিক্ষিকারা। ছয় দিন ধরে চলা এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় মাদ্রাসার কৃতিদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct