আপনজন ডেস্ক: হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারতের সঙ্গে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের জেরে কানাডায় এদেশের শিক্ষার্থীদের প্রবেশের অনুমতি নতুন করে পাওয়া যাচ্ছে না। তাতে মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন ভারতীয় শিক্ষার্থীরা। এদিন এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খোদ কানাডার অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মার্ক মিলার নিজেই। এক সাক্ষাৎকারে মিলার বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে কানাডার বর্তমান সম্পর্কই আমাদেরকে এই পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে পরিচালিত করেছে। অনুমোদনের হার আগের অবস্থায় ফিরে যেতে সম্ভবত আরও সময় লাগবে।’এর আগে কানাডা প্রবাসী শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর ভারতের শিখদের পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন খালিস্তান মুভমেন্টের একজন অগ্রসারির সংগঠক ছিলেন। সেই সঙ্গে ভারতের একজন তালিকাভুক্ত ফেরার সন্ত্রাসীও ছিলেন তিনি। ১৯৭৭ সালে পাঞ্জাবের জলন্ধর জেলা থেকে কানাডায় যান হরদীপ, পরে সেখানকার নাগরিকত্ব অর্জন করেন। ২০২৩ সালের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের ভ্যানকুভার শহরের একটি গুরুদুয়ারার কাছে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন হরদীপ সিং নিজ্জর। গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পার্লামেন্টের এক অধিবেশনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো হরদীপ হত্যাকাণ্ডের জন্য ভারতীয় গোয়েন্দাদের দায়ী করে বলেন, এ অভিযোগের পক্ষে বিশ্বাসযোগ্য তথ্যপ্রমাণ তার হাতে রয়েছে। হরদীপ হত্যাকাণ্ড যে কানাডার জন্য যে তীব্র অবমাননাকর, তা বোঝাতে পার্লামেন্ট ভাষণে ট্রুডো বলেন, ‘কানাডার মাটিতে একজন কানাডীয় নাগরিককে হত্যার সঙ্গে বিদেশি সরকারের জড়িত থাকার বিষয়টি আমাদের সার্বভৌমত্বের অগ্রহণযোগ্য লঙ্ঘন।’এই নিয়ে বাদানুবাদের জেরে নজিরবিহীন কূটনৈতিক দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে ভারত-কানাডা। মূলত ওই ঘটনার পর থেকেই ভারতীয় শিক্ষার্থীদের কানাডায় প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির সরকার। বিশ্বের উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সামর্থ্যবান শিক্ষার্থীদের কাছে শিক্ষাগ্রহণ ও বসবাসের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় দেশগুলোর মধ্যে কানাডা অন্যতম। ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতি বছর লাখ লাখ শিক্ষার্থী কানাডায় যান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct