আপনজন ডেস্ক: আর প্রজ্ঞানন্দ। পুরো নাম রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ। ভারতের ১৮ বছর বয়সী দাবাড়ু গত আগস্টে বিশ্বকাপ দাবার ফাইনালে উঠে হইচই ফেলে দেন। সবচেয়ে কম বয়সে ফাইনালে ওঠার রেকর্ড গড়েছিলেন ভারতীয় দাবা-বিস্ময়। ফাইনালে অবশ্য ম্যাগনাস কার্লসেনের কাছে হেরে রানারআপ হয়েছিলেন প্রজ্ঞানন্দ। সেই প্রজ্ঞানন্দ এবার গড়েছেন আরেকটি কীর্তি। দাবা কিংবদন্তি বিশ্বনাথন আনন্দকে পেছনে ফেলে ১৮ বছর বয়সী প্রজ্ঞানন্দই এখন ভারতের ১ নম্বর দাবাড়ু। পরশু নেদারল্যান্ডসের ভেইক আন জিতে টাটা স্টিল মাস্টার্সে দাবার বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন চীনের ডিং লিরেনকে হারিয়ে দাবার র্যাঙ্কিংয়ে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আনন্দকে পেছনে ফেলেছেন প্রজ্ঞানন্দ। তাতে আনন্দের আরেকটি কীর্তিও ছুঁয়েছেন তিনি। আনন্দের পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারালেন তিনি।চীনের লিরেনকে হারানোর পর দুই ধাপ এগিয়েছেন প্রজ্ঞানন্দ। তাঁর সর্বশেষ রেটিং পয়েন্ট ২৭৪৮.৩, যা আনন্দের চেয়ে ০.৩ পয়েন্ট বেশি। ২০১৮ সালে ১২ বছর বয়সে গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব পাওয়ার পর মায়ের সঙ্গে প্রজ্ঞানন্দ২০১৮ সালে ১২ বছর বয়সে গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব পাওয়ার পর মায়ের সঙ্গে প্রজ্ঞানন্দএএফপি ১ নম্বর হওয়ার পর প্রজ্ঞানন্দকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান ও সেঞ্চুরির মালিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন প্রজ্ঞানন্দকে, ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ডিং লিরেনের বিপক্ষে স্মরণীয় এক জয় পাওয়া প্রজ্ঞানন্দের জন্য হাততালি। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তুমি শুধু দাপটের সঙ্গেই খেলছ না, ভারতের শীর্ষ দাবাড়ুও হয়ে গেছ। পরবর্তী চ্যালেঞ্জগুলোর জন্য শুভকামনা। দাবার আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে ভারতের জন্য গৌরব বয়ে আনতে থাকো।’ ২০০৫ সালে চেন্নাইয়ে জন্মগ্রহণ করা প্রজ্ঞানন্দের বড় বোন আর বৈশালীও একজন গ্র্যান্ডমাস্টার। গত ডিসেম্বরে বৈশালী গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাব পাওয়ার পর রমেশবাবু পরিবার অনন্য এক কীর্তির মালিক হয়েছে। দাবা ইতিহাসে দুই ভাই-বোনের গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct