আজিজুর রহমান, গলসি, আপনজন: আবারও হিন্দু প্রতিবন্ধীর পাশে পঞ্চায়েত প্রধান ফজিলা বেগম ও জাহির আব্বাস মন্ডল। তাদের করা কাজ বার বার সামাজে নজির সৃষ্টি করছে। জানা গেছে, গত দশ বছর আগে একটি পথ দুর্ঘটনায় ডান পা হাঁটুর নিচে থেকে বাদ পরে গলসি ১ নং ব্লকের পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েতের সিহিগ্রামের বাসিন্দা বাপি বাগদির। তখন থেকেই প্রতিবন্ধী হয়ে যান তিনি। স্ত্রী সন্তান নিয়ে তার পরিবারে দুর্দশা নেমে আসে। জীবন চালাতে স্ক্রাচ নিয়ে চলাফেরা করতে হত তাকে। তিনি বলেন, নিজের দুর্দশার কথা লোয়া রামগোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ফজিলা বেগমকে জানান। এরপরই ফজিলা বেগম ও তার স্বামী জাহির আব্বাস মন্ডল তাকে একটি ট্রাইসাইকেল দেওয়ার কথা দেন। কথা মতো বুধবার দুপুরে তাকে একটি ট্রাইসাইকেল ও সাথে শীতবস্ত্র, কম্বল, লুঙ্গি ও মিষ্টির প্যাকেটও তুলে দেন। অন্য পঞ্চায়েত এলাকার ও হিন্দু প্রতিবন্ধী হবার পরও তাদের করা ওই সাহায্যে খুশি হয়েছেন বাপি বাগদি।
সাইকেলে চেপেই তিনি বলেন, আগে সবসময় বাড়িতেই থাকতে হত। এবার সাইকেল নিয়ে বাইরে বের হতে পারবেন। এটা তার বহু কাজে লাগবে।সিহিগ্রামের বাসিন্দা সুব্রত মহন্ত বলেন, সমাজকল্যাণ মুখি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কাজে বার বার দেখা গেছে ফজিলা ও জাহির আব্বাসকে। তার কথায়, বিগত দিনে মন্দির নির্মাণে সাহায্য থেকে, বস্ত্রদান, স্কুল পড়ুয়াদের সাহায্য, হিন্দু ব্যক্তির শ্রাদ্ধের খরচ ছাড়াও বার বার বহু দুস্থদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ফজিলা ও জাহির। এমনকি করোনা কালে মানুষের বাড়িতে খাবার পৌছে দেওয়া থেকে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরনে তাদের ভুমিকা ছিল প্রশংসনীয় বলে জানান তিনি। জাহির বলেন, জনপ্রতিনিধির কাজই মানুষের পাশে থাকা। তাই এমন কাজ করে থাকেন তারা। এদিকে ফজিলা বলেন, তার কাছে একটি ট্রাইসাইকেল সাহায্য চেয়েছিলেন বাপি। তিনি সরকারি ভাবে দেবার চেষ্টা করেছিলেন। তবে শেষমেষ তা সম্ভব না হাওয়ায় তিনি নিজের ভাতার টাকা দিয়ে ওই উপহার দিয়েছেন। ফজিলা ও জাহিরের এমন কাজের প্রশংসা করেছেন অনেকেই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct