আপনজন ডেস্ক: রিপাবলিকান পার্টি থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মনোনয়নের দৌড়ে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন উদ্যোক্তা বিবেক রামাস্বামী। বিভিন্ন সমাবেশে ও বিতর্কে ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতাদের পাশাপাশি রিপাবলিকান প্রার্থীদেরও কঠোর সমালোচনা করেছেন তিনি। তবে আইওয়া রিপাবলিকান ককাসে (দলীয় সদস্যদের সম্মেলন) বাজে ফল করেছেন তিনি। বড় ব্যবধানে জিতেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই হারের পরই তিনি আর দেরি করেননি; ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করে দলীয় প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। মার্কিন রাজনীতিতে বিবেক রামাস্বামী তুলনামূলক কম পরিচিত মুখ। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে হঠাৎ করেই রিপাবলিকান পার্টি থেকে মনোনয়ন দৌড়ে নেমে পড়েন তিনি। অভিবাসন এবং ‘আমেরিকাই প্রথম’ এসব নীতির বিষয়ে তার দৃঢ় এবং যৌক্তিক মতামত রিপাবলিকান পার্টির ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল। বিবেকের প্রচারের কৌশলটি সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মতোই ছিল। ট্রাম্পের প্রচারের সুর এবং নীতিই তার প্রচারে কণ্ঠে বারবার প্রতিফলিত হয়েছে। রামাস্বামী মূলত রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গিকে পুঁজি করতে চেয়েছিলেন, যেখানে এর আগেরবার ট্রাম্প এই কৌশলেই সহজ সাফল্য পেয়েছিলেন।বিবেক রামাস্বামী ওহাইও অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা। ভারতের কেরালা রাজ্য থেকে তার বাবা–মা যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হন। তার জন্ম যুক্তরাষ্ট্রেই। রক্ষণশীলদের মধ্যে ট্রাম্পের প্রভাব-প্রতিপত্তি এবং খ্যাতিই তাকে রাজনীতিতে আসতে অনুপ্রাণিত করে। পরে নিজেই ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হন। অবশ্য আইওয়া ককাস ঘনিয়ে আসার সময় রিপাবলিকান মনোভাব বিবেকের প্রতিকূলে যেতে থাকে। কারণ শেষ দিনগুলোতে ট্রাম্প প্রকাশ্যেই তার নিন্দা করেন। ট্রাম্প নিজেই তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে বিবেককে ‘জালিয়াত’ হিসেবে অভিহিত করেন। ট্রাম্প জোর দিয়েছিলেন, ভারতীয়-মার্কিনকে একটা ভোট দেওয়া মানে ‘অন্যকে’ ভোট দেওয়া। আইওয়া ককাসে বিবেক রামাস্বামী প্রায় ৭ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন। রামাস্বামী হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct