আপনজন ডেস্ক: মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারাম এবং এর আশপাশের এলাকাকে কোডভিত্তিক জোনে ভাগ করার উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। মুসল্লিদের সেবার মান বাড়াতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। এরই মধ্যে পবিত্র গ্র্যান্ড মসজিদ ও পবিত্র মসজিদ-ই-নববীর তত্ত্বাবধানকারী সাধারণ কর্তৃপক্ষ ও পোস্টাল অ্যান্ড লজিস্টিক সার্ভিসেস কম্পানির (এসপিএল) মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি হয়। গত ১১ জানুয়ারি জেদ্দায় হজ ও ওমরাহ বিষয়ক সম্মেলনে তা অনুষ্ঠিত হয়। চুক্তি অনুসারে, এসপিএল পবিত্র মসজিদুল হারামের এলাকাকে কোডভিত্তিক বিভক্তির সম্ভাব্যতা নিয়ে গবেষণা করবে। যেন পুরো মসজিদ প্রাঙ্গণের ভৌগোলিক অবস্থান সঠিকভাবে নির্ধারণ করা যায় এবং আগত মুসল্লি ও কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া সহজ হয়। তা ছাড়া সেখানকার আবাসন কর্মক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে মুসল্লি পরিষেবার মান নিশ্চিত করা হবে। ২০২৩ সালে সৌদি আরবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ওমরাহযাত্রীর আগমন ঘটেছে। এ বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ১৩ কোটি ৫৫ লাখের বেশি মুসলিম ওমরাহ পালন করে। এর আগে ২০১৯ সালে ওমরাহযাত্রীর সংখ্যা ছিল ৮.৫ মিলিয়ন। ফলে সেই বছরের তুলনায় গতবার ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। গত ৮ জানুয়ারি জেদ্দায় অনুষ্ঠিত হজ ও ওমরাহ বিষয়ক সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দেশটির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. তাওফিক আল-রাবিয়াহ। উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৪ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সেই হিসাবে ১ মার্চ হজের ভিসা ইস্যু শুরু হয়ে ২৯ এপ্রিল শেষ হবে। ৯ মে থেকে সৌদি আরবে হজযাত্রীদের গমন শুরু হবে। গত বছরের জুনে করোনা-পরবর্তী সময়ের সর্ববৃহৎ হজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৪৫ জন অংশ নেয়, যার মধ্যে ১৬ লাখ ৬০ হাজার ৯১৫ বিদেশি হজযাত্রী ছিল।
All Rights Reserved © Copyright 2025 | Design & Developed by Webguys Direct