আপনজন ডেস্ক: সন্দেশখালির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে ইডির এফআইঅঅর মামলায় এবার যুক্ত হতে শাহজাহানের আইনজীবী আর্জি জানালেন। কিন্তু ইডি হামলায় শাহজাহান কেন আদালতে আত্মসমর্পণ করছেন না সেই প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এদিন অভিযানের সময় হামলার অভিযোগে ইডির দায়ের করা মামলায় যুক্ত হওয়ার জন্য শেখ শাহজাহানের আইনজীবী আবেদন জানালে বিচারপতি বলেন, আপনার মক্কেল কেন ধরা দিচ্ছেন না। তিনি বারে বারে তথ্য রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সিদ্ধার্থ দত্তকে দেওয়ায় প্রভাবিত করার অভিযোগ তোলেন। আর অ্যাডভোকেট জেনারেলকে বলেন, সৎ ভাবে বিচার পাওয়ার ইচ্ছে থাকলে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করুন। বিচারপতি শুনানির সময় জানতে চান, ইডি হামলার পর শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ইডির উপর হামলার ঘটনা সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে রাজ্য পুলিশ গিয়েছিল কিনা। এজি উত্তরে না বলেন। সেই সঙ্গে বলেন, এসডিপিও, ডিএসপি এবং সার্কুলার ইন্সপেক্টর সহ তদন্তে নজরদারির জন্য ‘পর্যবেক্ষণ দল’ গঠন করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই কথার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, তিন হাজার জন যেখানে অভিযুক্ত সেখানে মাত্র চারজন অভিযুক্ত গ্রেফতার কেন। যদিও এজি মানতে চাননি অভিযুক্তর সংখ্যাটি। তিনি জানান, অভিযুক্তর সংখ্যা তিন হাজার নয়, আটশো থেকে হাজার। বিচারপতি মুল অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করায় ন্যাজাট থানার নিষ্ক্রিয়তার কথা বলেন। বিচারপতি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কেন ৩০৭ দারা দেওয়া হযনি সেই প্রশ্ন তুললে এজি বলেন, যেহেতু ইডির বয়ানে ধাক্কা দেওয়ার কথা বলায় ৩০৭ ধারা দেওয়া হয়নি। তাতে সন্তুষ্ট হননি বিচারপতি। কেস ডায়রি না আনায় হাইকোর্টের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পুলিশকে । বিচারপতি বলেন, এমন মামলায় কেস ডায়রি না দেখে কোনও অর্ডার দেওয়া যায় না । পুলিশ এতদিন ধরে কী করেছে সেটা কেস ডায়রি দেখেই বোঝা সম্ভব। তিনি তাই পূর্ণাঙ্গ কেস ডায়রি নিয়ে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে ভিডিও ফুটেজ জমা দিতে হবে। ওই দিনের লুঠ হওয়া সম্পত্তির মধ্যে পুলিশ এখনও কী কী উদ্ধার করতে পেরেছে তাও জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এদিনই কেস ডায়রি জমা দিতে হবে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct