আমীরুল ইসলাম, বোলপুর, আপনজন: প্রদীপ প্রজ্বোলনের মধ্যদিয়ে সূচনা হয়ে গেল শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী কেন্দুলীর কবি জয়দেব মেলার। মেলা চলবে আগামী তিনদিন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেলার উদ্বোধক রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি কুটিরশিল্প দপ্তরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি ফাইজুল হক(কাজল সেখ) । বীরভূমের জেলা শাসক ও সভাপতি জয়দেব মেলা কমিটি বিধান রায়, রবি মূর্মু কর্মদক্ষ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিকাশ স্থায়ী সমিতি বীরভূম জেলা পরিষদ, জয়দেব মেলা কমিটির সম্পাদক তথা বোলপুর মহকুমা শাসক অয়ন নাথ, ডেপুটি স্পিকার আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায় , নানুরের বিধায়ক বিধান মাঝি বোলপুরে সংসদ অসিত মাল সহ বিশিষ্টরা। প্রতি বছর মকর সংক্রান্তির দিন পুণ্যস্নানের মাধ্যমে এই ঐতিহ্যবাহী মেলা শুরু হয়। এই মেলাকে ঘিরে মানুষের মধ্যে এক উন্মাদনার সৃষ্টি হয়। এই মেলা মূলত বীরভূমের সংস্কৃত পণ্ডিত জয়দেবের স্মৃতি তর্পণ উদ্দেশ্যে উদযাপিত হয়। অজয় নদের পাড়ে ছোট্ট গ্রাম জয়দেব কেন্দুলি।বীরভূম-বর্ধমান জেলার সীমান্ত বরাবর বয়ে চলা অজয় নদের ধারে কেন্দুলি গ্রাম। এখানেই ছিল রাজা লক্ষ্মণ সেনের সভাকবি জয়দেবের নিবাস। রাধাগোবিন্দের মন্দির সহ কেন্দুলিতে জয়দেবের স্মৃতিধন্য বহু দ্রষ্টব্য থাকলেও কেন্দুলির সব চেয়ে বড় পরিচয় পৌষ সংক্রান্তির মেলা, যাকে কেন্দ্র করে কেন্দুলির কথা আজ দেশের সীমানা ছাড়িয়েছে। প্রাচীনত্ব ও জনপ্রিয়তার নিরিখে এ মেলা আজ দেশের অন্যতম প্রধান মেলা হিসেবে পরিগণিত হয়। প্রতিবছর সমাগম হয় লক্ষাধিক মানুষের। ঐতিহাসিকদের মতে গঙ্গাবোধে অজয়ে মকরস্নান উপলক্ষেই এই মেলার সূচনা হয়েছে সুদূর অতীতে। পরে তার সঙ্গে জয়দেবীয় ঐতিহ্যধারা যুক্ত হয়ে হয়েছে জয়দেবের মেলা। অজয় নদে মকর সংক্রান্তির দিনে পুণ্যার্থীরা স্নান করেন। এই সময় নদীতে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct