আপনজন ডেস্ক: প্রাথমিকে স্কুল শিক্ষক নিয়োগে জট খুলল না। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি ও বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ রাজ্যে প্রাথমিকে নিয়োগ মামলার শুনানি পিছিয়ে ২২ জানুয়াির করে দিল। ফলে, প্রাথমিকে যে ১১ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ নিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, তা ঝুলেই রইল।
উল্লেখ্য, গত বছর প্রায় সাড়ে এগারো হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। গত সেপ্টেম্বরে তারা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, টেট উত্তীর্ণ ২০২০-২০২২ শিক্ষাবর্ষে প্রশিক্ষণরত ডিএলএড প্রার্থীরা এবং ওই কোর্সের প্রথম বর্ষের উত্তীর্ণরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। পর্ষদের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। তখন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেন। পরে হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ পর্ষদের ওই বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দেয়। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, প্রশিক্ষণরত প্রার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। শিক্ষক হতে গেলে প্রশিক্ষণ পর্ব সম্পূর্ণ করতে হবে। পরে অবশ্য দ্বিতীয় বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ ডিএলএড প্রশিক্ষণ শেষ করা প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়ার কথা জানায়। সবচেয়ে বড় বিতর্ক তৈরি হয় ডিএলএড প্রশিক্ষণ শেষ করা প্রার্থীদের পাশাপাশি প্রশিক্ষণরত ডিএলএডরা এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন কিনা সেই নিয়ে।
তার বিরুদ্ধে ডিএলএড প্রশিক্ষণরতরা ফের মামলায় শরিক হন। সৌমেন পাল-সহ মূল মামলাকারীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এবং দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের যুক্তি দেখান, পর্ষদের বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক ওই কোর্সের ২০২০-২২ শিক্ষাবর্ষ শেষ হচ্ছে জুন মাসে। আর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে নভেম্বর মাস থেকে। ফলে ডিএলএড প্রশিক্ষণরতদের সুযোগ দেওয়া উচিত। ওই মামলায় গত বছর ২৮ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ জানায়, আদালতের নির্দেশ ছাড়া ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার মেধাতালিকা প্রকাশ করতে পারবে না পর্ষদ। তার পর থেকে মামলাটির শুনানি বহু বার পিছিয়ে গিয়েছে। এবার আরও একবার পিছিয়ে গেল শুনানি। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে খবর, ২২ জানুয়ারি মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct